লকডাউন অনেক মানুষকে শিক্ষা দিয়েছে নতুন কিছু করার। তেমনই এই তিন বন্ধুর গল্প। করোনার গ্রাসে দেশ জুড়ে লকডাউন, কর্মস্থল বন্ধ, ফলে হাতে বিরাট সময়। তিন বন্ধু একসাথে হয়ে কিছু করার পরিকল্পনা নেন। প্রথমেই মাথায় আসে বায়োফ্লক অর্থাৎ কৃত্তিম ভাবে মাছ চাষ। কিন্তু খোঁজখবর নেওয়ার পর দেখা যায় সেই ব্যবসায় তেমন লাভজনক নয়। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ব্যাবসার খোঁজ করতে গিয়ে কুল চাষের পরিকল্পনা ভালো লেগে যায় বিজয় দাস, সমিত বৈরাগ্য অভিজিৎ কুন্ডুর। এই তিন বন্ধু মনস্থির করে নেয় তারা কুল চাষই করবেন। কিন্তু জমি কোথায় পাবে! তারপর থেকে জমির খোঁজ একদিকে শুরু হল। সাথে কুল চাষের পদ্ধতি দেখে নখদর্পণ করার প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
advertisement
দিগবেড়িয়া এলাকায় পাঁচ বিঘা জমি নিয়ে কুল চাষ শুরু করেন তারা। শুধুমাত্র মিস ইন্ডিয়া কুল অর্থাৎ ভারত সুন্দরী নামে পরিচিত এই কুল দিয়েই শুরু হয়। গাছের বৃদ্ধির সাথে সাথে আরও নয় বিঘা জমি পেয়ে যায় পাশেই এক জায়গায়। নদিয়া থেকে আরও কুলের চারা নিয়ে এসে শুরু হয় বড় করে ব্যবসা। উত্তর ২৪ পরগনার কৃষি আধিকারিক সুমিত বিশ্বাস জানান, "কুল চাষেও মিলতে পারে লাভ। তবে সে ক্ষেত্রে সঠিক পরিচর্যা বিশেষ প্রয়োজন।" উদ্যানপালন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মিলতে পারে সাহায্য বলেই জানালেন এই আধিকারিক। তবে কুল চাষে ও যে মেলে লাভ তা আরো একবার দেখালেন এই তিন বন্ধু।