দোকানের মালিক আনন্দ পাল জানান, তাঁর বাড়ি দোগাছিয়ায়। এদিন ভোরে দোকানের পাশে থাকা বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর দোকানে বেশ কিছুক্ষণ ধরে আওয়াজ হচ্ছে। তিনি সেই সময় ছিলেন মধ্যমগ্রামে। আসতে সময় লাগবে দেখে তিনি দোকানের সামনের বাড়ির দু'জনকে তাঁর দোকানটি একটু দেখতে বলেন। সেই দু'জন এসে দেখেন দোকানের শাটার খোলা রয়েছে। ভিতরে গিয়ে দেখেন, দোকানে যা ছিল সমস্তটা নিয়েই চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। দোকানের পিছনে একটি ফাঁকা জায়গা থেকে দোকান মালিক সহ স্থানীয়রা উদ্ধার করেন সোনার গহনার খালি বাক্স । চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপর এই খবর দেওয়া হয় অশোকনগর থানায়। আনুমানিক প্রায় আট লক্ষ টাকার গহনা খোয়া গিয়েছে বলে দাবি দোকান মালিকের।
advertisement
এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় ঘটেছে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা। গুমা নতুন বাজার , বড় বামুনিয়া কামারপুর রোড এলাকার শেখ আলামিনের মোবাইলের দোকান, আখতার শাহজির জুতোর দোকান সহ ১০ দিনে প্রায় ছয় থেকে সাতটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। বর্তমানে স্থানীয়রা দাবি জানাচ্ছেন পুলিশি টহল এর। কবে ধরা পড়বে দুষ্কৃতীরা, কবে এই আতঙ্কের পরিবেশ থেকে মুক্তি মিলবে এখন সেদিকেই তাকিয়ে গুমা এলাকার বাসিন্দারা।