স্কুল সূত্রে খবর, সুকুমার বাবু তাঁর পঞ্চাশ বছরের জীবনে গত ২৫ বছর ধরে ওই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। তিনি মূলত বাংলা বিষয়ের শিক্ষক। ছেলে মেয়েদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বন্ধুর মত ছিল (North 24 Parganas News)। সদা হাস্যময় সুকুমার বাবু এদিন বাড়ি থেকে সাইকেল চালিয়ে এগারোটার আগে স্কুলে আসেন। এরপরই হঠাৎ করেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখনই চেয়ারে বসে পড়েন তিনি। টিচার্স রুমে থাকা অন্যান্য শিক্ষকদের জানান বুকে ও মাথায় অসহ্য কষ্ট হচ্ছে। দ্রুত স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা একটি অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে তাঁকে হাসাপাতালে নিয়ে যান।চিকিৎসকরা জানান হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। দেহ বাড়িতে নিয়ে গেলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের লোকেরা। সুকুমার বাবুর স্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে সুমি মণ্ডলের বয়স ১৭। সে একাদশ শ্রেনির ছাত্রী, আর ছেলে মণীশের বয়স সবে মাত্র ছ’বছর। শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, যদি আরও দ্রুত সুকুমার বাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হত তাহলে হয়ত উনি বেঁচে যেতেন। এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষের গড়িমসির অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস চট্টোপাধ্যায়। মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই এরকম ঘটনায় রীতিমতো শোকের পরিবেশ গোটা এলাকায় (North 24 Parganas News)।
advertisement
Rudra Narayan Roy