রুদ্র নারায়ন রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় শুট আউট। ভরসন্ধ্যা বেলায় দুষ্কৃতিদের গুলিতে মৃত্যু হয় সদ্য জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলরের। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কে ধরতে হোগলা বনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পানিহাটি পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। দুষ্কৃতীরা এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাকে গুলি করে বলে অভিযোগ। একটি গুলি মাথায় এবং একটি গুলি কাঁধে লাগে অনুপম দত্তের। প্রকাশ্যে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন ওই কাউন্সিলর। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়েগেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনাটি ঘটে আগরপাড়া মহাজ্যোতি নগর এলাকায়, অনুপম দত্তের বাড়ির পাশেই। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। এরপর, খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শুটার শম্ভু পণ্ডিত কে আগরপাড়া রোডের জঙ্গল থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ধরে ফেলে স্থানীয় বাসিন্দারা। তুলে দেওয়া হয় খড়দা থানার পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, এই শম্ভু পণ্ডিত কে অনুপম দত্ত কে খুনের জন্য ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছিল। অভিযুক্ত শুটার দুষ্কৃতী শম্ভু পন্ডিত এর বাড়ি নদীয়ার হরিণঘাটা এলাকায়। শম্ভু পণ্ডিত কে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সাথে থাকা আরো অন্যান্য সঙ্গীদের খোঁজ চালাচ্ছে। গতকাল রাতে ঘটনার পরে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে পাশের হোগলা বনে লুকিয়েছিল। এলাকার মানুষজন দুষ্কৃতী কে ধরার জন্য হোগলা বনে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ফলে ভয়ে আতঙ্কে হোগলা বন থেকে বেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করে কাউন্সিলর খুনের মূল অভিযুক্ত। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আগ্নেয়াস্ত্রসহ হাতেনাতে ধরে ফেলে তাকে। অভিযুক্তকে এখন ম্যারাথন জিরা চালাচ্ছে পুলিশ। কেন এই খুন ? কি কারনে, কারা এই খুনের পেছনে রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পানিহাটি এলাকার বিধায়ক নির্মল ঘোষ জানান, এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক চক্রান্ত। এই ঘটনা যারা ঘটালো তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।