রুদ্র নারায়ন রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: গরুর পেট থেকে মিলল সোনা আর সেই শোনায় বিক্রি হলো প্রায় ৫০ হাজার টাকায়। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। গরুর দুধ থেকে নাকি সোনা পাওয়া যায় এমনই দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের সেই দাবি কি তাহলে সত্যিই! দেগঙ্গার গোবর্ধনপুর এলাকায় গরুর মূত্র ও গোবর থেকে উদ্ধার হয়েছে সোনা এমনই দাবি স্থানীয়দের। উদ্ধার হওয়া বস্তু সোনা না অন্য কোন ধাতু তা নিয়ে যুক্তিবাদী মঞ্চের দাবি, মানুষের যেমন গলব্লাডারের স্টোন হয় ঠিক তেমনি গবাদিপশুর পেটে স্টোন হতে পারে। কিন্তু বহু মূল্যে বিক্রি হয়েছে সেই ধাতব বস্তু। কেন সেগুলো ৫০ হাজার টাকা মূল্যে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী কিনে নিলেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। দেগঙ্গার গোবর্ধনপুর এলাকায় এক ব্যক্তি গরু পোষেন। হঠাৎ বাড়ির মালিক গতরাতে লক্ষ্য করেন যে তার মূত্র ও গোবর থেকে কিছু পাথর জাতীয় বের হচ্ছে। এরপরই তা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই খবর এলাকায় জানাজানি হতেই একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী তার বাড়িতে যায় এবং সেই পাথর তিনি ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনে আনেন। তখনই মানুষের সন্দেহ হয় সেগুলি কি সোনা! তা না হলে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনে নিলো কেন সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী। যুক্তিবাদী মঞ্চের সদস্যরা সোনা পাওয়ার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন। তারা জানান এটা গুজব ছাড়া কিছুই নয়। কিন্তু গরুর পেট থেকে উদ্ধার হওয়া বস্তু সোনা বলেই দাবি স্থানীয় সাধারণ মানুষের। যারা এখন রীতিমত চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউল হক জানালেন, জানতে পারি এরকম একটি বস্তু পাওয়া গিয়েছে। কোন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী সেই বস্তু কিনে নিয়ে গিয়েছেন বলেও জানতে পারি। যদি কোন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ঐ বস্তু কিনে নিয়ে গিয়ে থাকেন টাকা দিয়ে তবে তা শোনা এমনটাই লোকমুখে উঠে আসছে। অপরদিকে যুক্তিবাদী মঞ্চের সদস্য প্রদীপ সরকার জানান, মানুষের পেটে যেমন গলব্লাডার স্টোন হতে পারে তেমনি গবাদিপশুর পেতেও এ ধরনের কিছু হয়ে থাকতে পারে এবং সেটাকেই সোনা ভেবে অযথা গুজব তৈরি করা হচ্ছে। গরুর পেটে সোনা পাওয়ার বিষয়টি যদিও পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে যুক্তিবাদী মঞ্চের সদস্যরা।