রুদ্র নারায়ন রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: ইউক্রেনে চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়তে গিয়ে যুদ্ধে আটকে পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুরের বাসিন্দা বছর ২১ এর ছাত্রী তিয়াসা বিশ্বাস। ২০১৯ সালে ইউক্রেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা শাস্ত্রে নিয়ে পড়তে গিয়েছিলেন তিয়াসা। তবে এই মুহূর্তে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধে আটকে পড়েছেন তিয়াসা। উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছে গোটা পরিবার। পেশায় চিকিৎসক শ্যামল কুমার বিশ্বাস বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সি এম ও এইচ। শ্যামল বাবু জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতি হোতে পারে জেনেই আগে থেকেই, ছয় তারিখে তার ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধের পরিস্থিতির কারনে, তারা এই মুহূর্তে দেশে ফেরা অথই জলে। মেয়ের এই পরিস্থিতিতে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন গোটা পরিবার। এদিন সকালেই মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তিয়াসার পরিবারের। সে জানিয়েছে তাঁরা এখন একটি বাংকারে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। সকালে যুদ্ধ আক্রমণের সতর্কতামূলক সাইরেন এর শব্দে তারা বাংকারে আশ্রয় নিয়েছে। কিছু সামান্য খাবার-জল রয়েছে। তবে এটিএম পরিষেবা ঠিক না থাকায় সমস্যায় তাঁরা। কিভাবে মেয়ে এখন দেশে ফিরবে তার জন্য রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করছেন তিয়াসার বাবা ডঃ শ্যামল কুমার বিশ্বাস। বাড়ির মেয়ে বাড়িতে ফিরে না আসা অব্দি, উৎকণ্ঠায় রয়েছেন হৃদয়পুরের বিশ্বাস পরিবার। ইউক্রেনের উঁচু গগনচুম্বী অট্টালিকার উপর দিয়ে ঘনঘন উড়ে যাচ্ছে যুদ্ধবিমান। বাতাসে বারুদের গন্ধ। জীবন বাঁচাতে লড়াই চালাচ্ছেন ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। কবে অবস্থার বদল ঘটবে তা এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।