জানা গিয়েছে, ২০২১ এর ডিসেম্বরে মেডিকেল পড়তে ইউক্রেনে গিয়েছিলেন রিপন। রাশিয়া - ইউক্রেনের যুদ্ধে আর তার মেডিকেল পড়া হল না। ছেলে বাড়ি ফিরতেই যেন প্রাণ ফিরে পেলেন মা - বাবা। তবে দেশে ফিরলেও, কিছুতেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না রিপন। সবসময় মনের মধ্যে তাড়া করে বেরাচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র ইউক্রেনের ওই ভয়ানক দিনগুলির আতঙ্ক। সবকিছু ভুলে নতুন করে জীবন এবং পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান মেডিকেলের এই ছাত্র (North 24 Parganas News)। রিপন জানান, "কিভ থেকে হাঙ্গেরি পর্যন্ত আটশ কিলোমিটার কখনও বাসে, কখনও ট্রেনে, আবার কখনও পায়ে হেঁটে সীমান্তে পৌঁছতে হয়েছে। এসবের মাঝে প্রায় দশ হাজার টাকা খরচও হয়েছে। কখনও স্টেশনে, আবার কখনও সীমান্তে রাত কাটাতে হয়েছিল। জল - খাবার কিছুই পাওয়া যায়নি। এখনও অনেক পড়ুয়া মিলে কিভে আটকে পড়েছেন। শুধু একটা কথাই বারবার মনে হচ্ছিল যত দ্রুত সম্ভব ভারত সরকার আমাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক। মিসাইল, রকেট হামলা, সেনাবাহিনীর দাপাদাপি প্রতিটা ভয়ঙ্কর মুহূর্ত চোখের সামনে দেখতে হয়েছে।" রিপনের মা হাজেরা বিবি বলেন, "কেন্দ্র সরকার যদি মেডিকেল পড়ানোর জন্য এদেশে ব্যবস্থা করে তাহলে আমরা খুব উপকৃত হব।" বাবা আনারুল সর্দার বলেন, "জমি বিক্রি করে ছেলেকে ডাক্তার হওয়ার জন্য ইউক্রেনে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। ছেলে কবে বাড়ি ফিরবে সেদিকেই তাকিয়েছিলাম। রিপন সুস্থ শরীরে ঘরে ফিরেছে এটাই আমাদের কাছে বড় পাওনা।" রিপন বাড়ি আসার পরই স্থানীয় এলাকার বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরাও রিপনের সঙ্গে দেখা করার জন্য এখন ভিড় জমিয়েছে বাড়িতে।
advertisement
Rudra Narayan Roy