রুদ্র নারায়ন রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: বিধাননগর পুর নিগমের ফল ঘোষণা হতেই সবুজ আবির উড়ছে অলিতে গলিতে। ৪১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯ টি আসন দখলে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। কার্যত বিরোধীশূন্য করে বিধাননগর পৌরসভা দখল করল ঘাসফুল শিবির। তবে পুর নিগমের ভোটে একটি আসন দখল করে নজর কেড়েছে নির্দল প্রার্থী । ১২ নম্বর ওয়ার্ডটি দখল নিয়েছেন নির্দল প্রার্থী মমতা মন্ডল। নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা মণ্ডল। আর এই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন হালিমা বিবি মন্ডল। ৪১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছিল এই ১২ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের প্রার্থী তালিকায় মমতা মণ্ডলের নাম না থাকায় নির্দল হিসাবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার এই সিদ্ধান্তের কারণে এক আত্মীয়কে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু তাও নমিনেশন প্রত্যাহার করেননি মমতা। সোমবার ফলাফল বের হতেই দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীকে ১১৫০ ভোট পেছনে ফেলে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী মমতা মণ্ডল। এরপরই আলোচনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। পরবর্তীতে মমতা মণ্ডল তৃণমূলে যোগ দেন কিনা এখন সেটাই দেখার বিষয়।উল্লেখ্য, গত ১২ ই ফেব্রুয়ারি রাজ্যে চার পৌরনিগমের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার ছিল তার ফল ঘোষণা। ভোটের গণনা শুরু হয়ে গিয়েছিল সকাল থেকেই। আর সকাল থেকেই বিধাননগরের অলিতে-গলিতে আনন্দ উল্লাসের ছবি ধরা পড়ল এই দিন। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে প্রথম থেকেই সদর্থক মনোভাব ছিল। বিধাননগর পুরো নিগমের তৃণমূলের দখলে যাবে সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন তারা। ফল ঘোষণা হতেই তৃণমূলের বিপুল জয়ের খবর আসতে শুরু করলে রীতিমতো দলীয় পতাকা সহ ঢোল তাসা নিয়ে বিধাননগরের রাস্তায় দেখা গেল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। তবে বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়র কে হবেন তা নিয়ে দিনভর রইল ধোঁয়াশা। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়েছেন মেয়র পদপ্রার্থী নাম ঘোষণা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখন দেখার বিষয় ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে আসা নির্দল প্রার্থী মমতা মণ্ডল এরপর কি সিদ্ধান্ত নেন। তিনি অবশ্য এদিন জানিয়েছেন, কর্মীরা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই সিদ্ধান্তই তিনি মানবেন। জয়ের পরই এদিন কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায় নির্দল প্রার্থী মমতাকে।