নৌকা মাঝি স্বপন রায় জানান, “অন্য বছর এই সময় দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা টাকিতে বেড়াতে এসে ইছামতি নদীতে ভ্রমণের জন্য ভিড় জমান। কিন্তু এই বছর এই সময় পর্যটকদের দেখা নেই।” টাকির ইছামতী বক্ষে সারা বছরই নৌকা চালিয়েই সংসার চলান মাঝি। সরকারিভাবে তেমন কোন সুবিধা পাওয়া যায় না। তাই যদি এইভাবে পর্যটকরা পর্যটন কেন্দ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে সংসার চালাতে খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। টাকির পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা কোমল সরকার বলেন, “এর আগেও শীতের সময় বেড়াতে এসেছিলাম। তখন ভিড়ে ঠাসা ছিল ইছামতীর পাড়। কিন্তু এবার দেখছি অনেক ফাঁকা ফাঁকা।”
advertisement
এই বিষয়ে বসিরহাটের দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, টাকির পর্যটন কেন্দ্রের নতুন নতুন আকর্ষণ তৈরি করা হয়েছে সরকারিভাবে। এছাড়াও পর্যটকদের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বিএসএফের সঙ্গে পুলিশ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও সমস্যায় পড়লে পর্যটকরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন পুলিশ সহায়তা কেন্দ্রে। এছাড়াও মিনি সুন্দরবনে কংক্রিটের টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে সেখান থেকে ইছামতি নদী, মিনি সুন্দরবন ও বাংলাদেশ বর্ডার সহজেই দেখা যাবে। তবে শীতের শুরুতে পর্যটকদের তেমন ভাবে দেখা না মিললেও চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ ও জানুয়ারি মাসের থেকেই পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলে আশা করা যায়।