রুদ্র নারায়ন রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া অঞ্চলে ঢুকলেই রাস্তার দুপাশে শুধুই জলাশয়। চলতি কখায় গ্রামের মানুষ যাকে বলে ভেড়ি। আর এই জলাশয়গুলোর উপরেই নির্ভরশীল এই এলাকার সিংহভাগ মানুষ। কারন, এই জলাশয়ে নানা ধরনের মাছের চাষ হয়। আর এই মৎস্য চাষের ওপর নির্ভর করে পরিবার চালান অনেক মৎস্যজীবী। বিশেষ করে হাড়োয়া অঞ্চলের গলদা চিংড়ি আর বাগদা চিংড়ির সুনাম ছড়িয়ে আছে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। শুধু চিংড়ি নয় এই ভেড়িতে রুই, কাতলা, বাটা সহ একাধিক মাছের চাষ হয়ে থাকে। বছরে সাত আট মাস চলে মাছ ধরে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ। বাকী তিন মাস ধরে চলে সারা বছরের মাছ উৎপাদনের প্রস্তুতি পর্ব। জল পরিষ্কার থেকে শুরু করে মাছের খাবার বিতরণ সবই করতে হয় মৎস্যজীবীদের। তবে বিগত দিনে আমফান, যশের মতো ঘুর্নিঝড় সহ নানা প্রাকৃতিক বির্পযয় সমস্যায় ফেলেছে এই এলাকার মৎস্য চাষীদের। শত বিপদেও হাড়োয়ার মৎস্য চাষীরা নিজেদের পেশা থেকে বেরিয়ে না এসে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। মৎস্যচাষী প্রদীপ বিশ্বাস জানালেন, এইমাত্র চাষের মধ্যে দিয়ে ব্যাপক পরিমাণে লাভ না হলেও সংসার ভাল মত কেটে যাচ্ছে আমাদের। পাশাপাশি আরও কিছু পরিবার এই মৎস্য চাষের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে এগিয়ে এসেছেন। মৎস্যচাষের মধ্যে দিয়েও যে সাফল্য মিলে তা প্রমাণ করছেন হাড়োয়ার মৎস্য চাষিরা। তাদের দেখে আরও এলাকার অন্যান্য উৎসাহী চাষিরাও এই মৎস্য কাজে এগিয়ে আসছেন।