রুদ্র নারায়ন রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: গণতন্ত্রের উৎসবের দিন আক্রমণের শিকার হল সংবাদ মাধ্যম। সংবাদকর্মীদের মাটিতে ফেলে চলল লাথি ঘুঁষি। পুলিশ প্রশাসন থাকলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলেন তারা। ১০৮ টি পুরসভায় নির্বাচনের পাশাপাশি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মোট ২৫ টি পুরসভায়ও একই সাথে চলছিল ভোট গ্রহণ পর্ব। তখনই সংবাদমাধ্যমের কাছে খবর আসে মধ্যমগ্রামের সাত নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম মেশিন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় একাধিক সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। মধ্যমগ্রামের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ২০৪ এবং ২০৫ নম্বর বুথের ঘটনার সত্যতা তুলে ধরতে গেলেই দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়। জানা যায়, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে দুটি ইভিএম মেশিন ভেঙে ফেলা হয়। ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী ও এজেন্ট এই কান্ড ঘটায় বলে অভিযোগ। এরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে সংবাদকর্মীরা ছবি তুলতে গেলে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এর সাথে চলতে থাকে বেধড়ক মারধর। মাটিতে ফেলে কিল চড় ঘুষি চালানো হয়। আক্রান্ত হন বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি সহ চিত্র সাংবাদিকেরা। ভাঙচুর করা হয় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাও। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নানা অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। এবছর পৌর নির্বাচনে প্রতিটি বুথে ছিল রাজ্য পুলিশ। মধ্যমগ্রামের সাত নম্বর ওয়ার্ডের উত্তেজনাপূর্ণ ওই দুই বুথেও রাজ্য পুলিশ থাকলেও, তাদের ভূমিকা ছিল নিতান্তই নিরব দর্শকের। কিন্তু কেন এভাবে সংবাদকর্মীদের ওপরই বারবার নেমে আসে আক্রমণ! সত্যতা তুলে ধরতে গিয়ে কেন আক্রোশের শিকার হতে হয় সংবাদকর্মীদের! সংবাদিক নিগ্রহের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সমাজের বিভিন্ন মহল।