রুদ্র নারায়ন রায়,সুন্দরবন: বিস্তীর্ণ সুন্দরবন (sundarban) অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করে জঙ্গলের উপর। যত বিপদই আসুক জঙ্গলই তাদের রুটি রুজির যোগান দেয়। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ, বাদা বনের নদীতে প্রতিটা মুহূর্তে রয়েছে বিপদের হাতছানি। জলে কুমিরের ভয়, জঙ্গলে বাঘ (royal bengal tiger)। তবুও পেট চালাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয় জঙ্গলে। এমনই একজন হলেন মৎস্যজীবী (fisherman) অনাদ শীল৷ সুন্দরবনের (sundarban) এই বাসিন্দা দু'বার বাঘের মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন৷ তাঁর চোখে মুখে এখনও বাঘের থাবার ক্ষত চিহ্ন রয়েছে৷ সুন্দরবনের খাড়িতে মাছ, কাকড়া ধরতে গিয়ে দক্ষিণ রায়ের মুখোমুখি হয়ে বেচেঁ ফিরে এসেছেন অনাদ শীল।সেদিনের আতঙ্কের কথা মনে করতে গিয়ে রীতিমত আতঙ্কের ছাপ ধরা পড়ল তাঁর গলায়। তিঁনি জানালেন, একবার বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারান বছর ১৭-র একসঙ্গী। চোখের সামনে মুহূর্তে শেষ হল সঙ্গীর জীবন। তারপরও পেটের টানে ভয়কে সঙ্গী করে মাছ ধরতে যেতে হয় সুন্দরবনের জঙ্গলে৷ শুধু অনাদ শীলই নয়,মৃত্যুর ভয় কে উপেক্ষা করে সুন্দরবনের মানুষদের জঙ্গলে যেতে হয় রোজগারের আশায়। জীবন এখানে বড় কঠিন। তবে বর্তমানে রাজ্য সরকারের আনুকূল্যে কিছুটা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও, প্রত্যন্ত সুন্দরবনের এখনো বহু জায়গা রয়েছে যেখানে তেমন ভাবে যোগাযোগ ব্যাবস্থা গড়ে ওঠেনি। তাছাড়া, সুন্দরবনের বহু দ্বীপ আছে, যেগুলি জন মানব শূন্য। তবে বিকল্প জীবিকার সন্ধ্যান হিসেবে আজ কাল কৃষিকাজ, হস্ত শিল্পকেও বেছে নিচ্ছেন প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা মিলিয়ে বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, বাঘের আক্রমণের চলতি বছরে প্রাণ গিয়েছে প্রায় সাত জন মৎস্যজীবীর।আহত হয়েছেন অনেকে৷