মেয়েদের এই উপনয়ন অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট পণ্ডিত হরিপদ চক্রবর্তী। পন্ডিতজিও জানালেন, পৌরোহিত্য শুধু ছেলেরাই করতে পারবে এমন কোনো বিধান নেই শাস্ত্রে। তাই মেয়েরাও যদি এই পেশায় আসে, তবে উপকৃত হবে গোটা সমাজ। ঠিক বিয়ের অনুষ্ঠানের মতই ঘটা করে দুই মেয়ে তমালিকা ও অয়ন্তিকার উপনয়ন ঘিরে সকলের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। কেন এমন সিদ্ধান্ত? এই প্রসঙ্গে তারকনাথ ব্যানার্জি জানালেন, নারীরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে কর্ম দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। তাহলে পৌরহিত্যের ক্ষেত্রে তারা কেন পিছিয়ে থাকবে? এই প্রশ্ন তুলে তিনি তার ইচ্ছে কথা জানালেন। বললেন, পৌরোহিত্য আমার পেশা। আমি চাই আমার দুই মেয়ে ও পৌরোহিত্য পেশায় আসুক। আর তাই তাদের পৈতে দিয়েই পৌরোহিত্যের পথে আনতে চাই।
advertisement
বাবার এই সাহসী সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী তমালিকা ব্যানার্জি ও সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী অয়ন্তিকা ব্যানার্জি জানালেন তাদের আত্মবিশ্বাসের কথা। তারাও তাদের বাবার ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়ে বললেন, সমাজে নারীরা সব দিক থেকে এগিয়ে গেছে। পৌরহিত্যে কেন মেয়েরা পিছিয়ে থাকবে। পৌরোহিত্য শুধু পুরুষদের অধিকার নয় মেয়েরাও এই পেশায় এসে সাফল্য পেতে পারে। আমরা দুই বোন এই উপনয়নের পর আগামী দিনে পুজো অর্চনার পথেই যেতে চাই। মেয়েদের উপনয়ন দিয়ে সমাজে আরো একবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পুরোহিত বাবা।