#উত্তর ২৪ পরগনা: ধানের চারা রোপন যন্ত্রের ব্যবহারে কম খরচে ধান চাষে মিলেছে সাফল্য। ভালো মুনাফা ঘরে তুলতে পেরে সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছেন উত্তর ২৪ পরগনার রাউতাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিক গ্রামের কৃষকরা। ফলে গতানুগতিক চাষ থেকে নজর সরিয়ে কৃষি দফতরের প্রশিক্ষন পেয়ে আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগে সদিচ্ছা দেখাতে শুরু করেছেন এই গ্রামের কৃষকরা। বিগত দিনে দেখা গেছে ধান চাষের ক্ষেত্রে খরচের বহর বাড়ছে, পাশাপাশি সময় মতো ধানের চারা রোপনে মিলছে না পর্যাপ্ত কৃষি-শ্রমিক। এ সবের জেরেই চারা রোপনে দেরি হওয়ায় ফলনের হার কমেছে। এই পরিস্থিতিতে হতাশ কৃষকদের মনে আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে হাবড়া ১ নং ব্লকের কৃষি দফতরের আত্মা প্রকল্পের উদ্দ্যোগে তৈরি কৃষি বিদ্যালয়। যেখানে কৃষকদের নিয়ে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে চাষের পদ্ধতিগুলো শেখানো হচ্ছে হাতে কলমে। যন্ত্রের সাহায্যে ধান চাষে সাফল্য পেয়ে খুশি মালিক গ্রামের কৃষকরা। গতানুগতিক ধান চাষে ধানের চারা রোপন করতে বিঘা প্রতি খরচ পড়ত ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। সেখানে যন্ত্রের ব্যবহারে খরচ পরে সর্বসাকুল্যে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। উপরন্তু এই পদ্ধতিতে চাষ করলে গাছে বৃদ্ধির হার দ্রুত হয়। ফলনের পরিমাণও হয় বেশি। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের মধ্য দিয়েই কৃষিক্ষেত্রে সুফল পাচ্ছেন কৃষকরা। এই যন্ত্র ব্যবহারে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে অন্যান্য কৃষকদের মধ্যে ও। এর ফলে সময়ও বাঁচবে, পরিশ্রম হবে কম, ফলন হবে অনেকটাই বেশি। তাই নতুন প্রজন্মের চাষিদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই আধুনিক পদ্ধতি।