দীঘা থেকে প্রতিদিন ভোরে ভ্যান ও ছোট ট্রাকে করে বাগদা চিংড়ি পৌঁছায় বসিরহাট শহরের আড়তে। সেখান থেকে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এই মাছ পৌঁছে যায় বিভিন্ন মহল্লা ও গ্রামে। শুরু হয় মহিলাদের কর্মযজ্ঞ। সারি সারি করে বসে দক্ষ হাতে চিংড়ির খোসা ছাড়ান তাঁরা। এই কাজে প্রতি কেজি চিংড়ির খোসা ছাড়ানোর জন্য মজুরি পান ৮ থেকে ৯ টাকা। অভিজ্ঞতা ও পরিশ্রমের জোরে একজন মহিলা প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ কেজি পর্যন্ত চিংড়ির খোসা ছাড়াতে পারেন। এতে দৈনিক রোজগারের একটি স্থায়ী পথ তৈরি হয়েছে তাদের জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন :ফেসবুকে ছবি, স্ট্যাটাস ‘বাংলাদেশ’! ১৭ বছর নির্বাসনের পরে ঢাকায় পা রাখলেন তারেক রহমান
খোসা ছাড়ানো চিংড়ি পরে প্যাকিং করা হয়। সেগুলি পাঠানো হয় ভিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়, এমনকি রফতানির পথেও পাড়ি দেয় এই চিংড়ি। বসিরহাটের মহিলাদের নিপুণ হাতের কাজ ছাড়া এই বিপুল চিংড়ি শিল্প কার্যত অচল। সংসারের হাল ধরতে, সন্তানদের পড়াশোনা চালাতে কিংবা নিজের পায়ে দাঁড়াতে—এই কাজ আজ বহু মহিলার কাছে আশার আলো। নীরবে, নিরবে শ্রম দিয়ে অর্থনীতির চাকা ঘোরাচ্ছেন বসিরহাটের এই পরিশ্রমী নারীরা।