সম্প্রতি এক বিবৃতিতে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, শর্তসাপেক্ষে ICMR-কে অনুমোদন দিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)। এক্ষেত্রে IIT কানপুরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অভিনব পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। আর এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে ব্যবহার করা হবে ড্রোন। এই অনুমোদনের মেয়াদ প্রায় এক বছর। শর্তসাপেক্ষে ড্রোনের ব্যবহারের ক্ষেত্রে নগর নিগম দেরাদুন, হলদোয়ানি (Haldwani), হরিদ্বার (Haridwar) ও রুদ্রপুর (Rudrapur) ক্যাম্পকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থাগুলি GIS নির্ভর ডেটাবেস তৈরি করে পুরো পরিকল্পনার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
advertisement
এর পাশাপাশি অন্য একটি কারণে ওয়েস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ে (West Central Railway) কোটা ও কাটনি জাংশনেও ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। এক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, রেলের সম্পত্তির উপর নজরদারি চালাতেই ড্রোনের ব্যবহার করা হবে। মানুষজনের নিরাপত্তা ও রেলের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে, বলে জানাচ্ছে মন্ত্রক। একই সঙ্গে, শর্তসাপেক্ষে ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বেদান্ত লিমিটেডকে (Vedanta Limited)। ২০২২ সালের ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৈধ থাকবে এই চুক্তি। মন্ত্রকের কড়া বার্তা, সমস্ত শর্ত মেনে চললেই বজায় থাকবে চুক্তি। অন্যথা বাতিল করা হবে অনুমোদন।
তবে এই সমস্ত কিছুর মাঝে ড্রোনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সরবরাহের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের কথায়, বর্তমানে একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। দেশকে বাঁচাতে এই ধরনের অভিনব পদক্ষেপকে সর্বদা স্বাগত। আপাতত ড্রোনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সরবরাহের অপেক্ষায় মানুষজন!