এসবের মাঝেই এইমস-এর ডিরেক্টর ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া আরও একটি মারাত্মক দাবি করে বসলেন।
এইমস-এর ডিরেক্টর দাবি করেছেন, নতুন করে করোনার দাপাদাপির জন্য দেশের যুবসমাজ দায়ী। তিনি বলেছেন, ''এখনকার যুবসমাজ বেপরোয়া, লাগামহীন। তাঁদের এই বেপরোয়া মানসিকতাই বড় বিপদ ডেকে আনছে। তারা বেপরোয়া হওয়ার দরুন কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনা যুবক-যুবতীদের অনেকের শরীরে বাসা বাঁধছে। তাঁদের থেকেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে সমাজের বয়স্কদের শরীরে। আসলে যুবসমাজ মনে করছে, তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকায় মারণ ভাইরাস আক্রমণ করতে পারবে না। এমনকী আক্রান্ত হলেও তাদের শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা করোনা বিধি মেনে চলছে না। এক্ষেত্রে তারা হয়তো তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। কিন্তু তাদের জন্য বয়স্ক ও কোমর্ডিটি মানুষদের বিপদ বাড়ছে।''
advertisement
ইতিমধ্যে ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তাতে কি দেশে করোনা সংক্রমনের হার রোধ করা সম্ভব! এইমসের ডিরেক্টর বলছেন, ''যুবসমাজ সচেতন না হলে বয়স্কদের এই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। মনে রাখতে হবে, টিকা কিন্তু করোনা সারিয়ে দেবে না। টিকার কাজ আলাদা। যুব সমাজের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। তারা সচেতন হলেই বয়স্কদের মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। তবে একই সঙ্গে টিকাকরণের প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে হার্ড ইমিউনিটি ছাড়া ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা নেই। হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করতে দেশের অন্তত ৫০-৬০ লাখ মানুষকে টিকা দিত হবে। সেটা যত দ্রুত হবে ততই ভাল।''