প্রথমে ছেলেকে বাধা দেওয়া হয়। এর পর হঠাৎই বড় ভাই শ্যামসুন্দর সাহুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং চরম হিংসাত্মকভাবে তাঁর গোপনাঙ্গে কামড় বসিয়ে দেয়। এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে শ্যামসুন্দর সাহুর স্ত্রী এবং ছেলের সামনে।
ইঞ্জিন সারানো হয়েছিল সদ্য! ত্রুটি প্লেনের নয়…১৯ জন মৃত যাত্রীর DNA টেস্টের পর বড় তথ্য ফাঁস!
advertisement
আহতের স্ত্রী নীতা সাহু জানান, “আমি নিজে চোখে দেখেছি, দেওর আমার স্বামীর উপর হামলা চালিয়েছে। ও ওঁকে খুন করতে চেয়েছিল। আমি, আমার স্বামী এবং ছেলে মিলে ওঁকে রুখে না দাঁড়ালে আজ ওরা কেউই বেঁচে থাকত না।”
শ্যামসুন্দর সাহু বলেন, “ছেলে মোবাইলে কিছু দেখছিল, তাতেই আমার দাদা ক্ষেপে যায়। প্রথমে ছেলেকে বকাঝকা করে, তারপর হঠাৎ আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচিয়েছে, কিন্তু ততক্ষণে আমি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে গেছি।”
ঘটনার পর শ্যামসুন্দর সাহুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিধি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্ত্রী নীতা সাহু দাবি করেছেন, “এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং চূড়ান্ত নিষ্ঠুরতা ছিল এর মধ্যে।” মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার চিলরি গ্রামে এমনই এক বেদনাদায়ক ও রোমহর্ষক ঘটনার সাক্ষী হলেন এক পরিবার।
ঘটনার পর কমারজি থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও, পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মেডিকেল রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। ফলে এখনও অভিযুক্ত ব্যক্তি মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এবং আক্রান্ত পরিবার ও গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ঘটনা শুধু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গত ৫ বছরে এই নিয়ে চতুর্থবার সিধি জেলায় এমন ঘটনা ঘটল যেখানে কারও গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবারই পুলিশ শুধু প্রাথমিক FIR দায়ের করে, তারপর মেডিকেল রিপোর্ট ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়ার অজুহাতে তদন্তে বিলম্ব করে। ফলে অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।