Snake Bite: জঙ্গল থেকে আনা হল বিষধর সাপ, ছাড়া হল বাড়িতে...বাবার বিমার টাকা পেতে ছেলেরা যা করল, হতভম্ব খোদ পুলিশও
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
উত্তর তামিলনাড়ুর গ্রামগুলিতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। তবে তিরুত্তানির কাছে পোট্টাতুরপেট্টাই গ্রামে যে-ঘটনা সামনে এল, তাতে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পুলিশ-প্রশাসনও
advertisement
1/10

তামিলনাড়ু: উত্তর তামিলনাড়ুর গ্রামগুলিতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। তবে তিরুত্তানির কাছে পোট্টাতুরপেট্টাই গ্রামে যে-ঘটনা সামনে এল, তাতে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পুলিশ-প্রশাসনও!
advertisement
2/10
জানা যায়, পোট্টাতুরপেট্টাই গ্রামের একটি সরকারি স্কুলের ল্যাব সহকারীর মৃত্যু হয়! প্রাথমিকভাবে মনে হয় সাপের কামড়ে মৃত্য। কিন্তু তদন্তে যা সামনে আসে, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। জানা যায়,৫৬ বছর বয়সি ইপি গণেশনের মৃত্যু সাপের কমাড়ে নয়, বরং ঠান্ডা মাথায় সংঘটিত খুন! খুনি আর কেউ নয়, ইপি গণেশনের দুই ছেলে।
advertisement
3/10
পুলিশের দাবি, প্রায় ৩ কোটি টাকার বিমার টাকা এবং একটি সরকারি চাকরি পাওয়ার লোভেই দুই ছেলে বাবাকে খুন করে! এমনভাবে খুনের প্লট সাজায়, যেখানে একটি কোবরা সাপ কামড় দেয় গণেশনকে। ফলে সবার মনে হয় সাপের কামড়েই মৃত্যু হয়েছে গণেশনের। কিন্তু পুলিশের মনে ধন্দ থেকে যায়! শুরু হয় তদন্ত! সেখানেই সামনে আসলে আসল ঘটনা। দুই ছেলে-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
advertisement
4/10
গণেশন পোট্টাতুরপেট্টাই সরকারি বালিকা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী ছিলেন। তিরুভাল্লুর জেলার পোড্ডাতুরপেটের নাল্লাথান্নির কুলামের বাসিন্দা ছিলেন। ২২ অক্টোবর রাতে তাঁর দুই ছেলে মোহনরাজ (২৯) ও হরিহরণ (২৬) তাঁকে পোড্ডাতুরপেট্টাই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন যে, তাঁর মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে।
advertisement
5/10
এর পর পরিবার জানায়, বাড়িতে ঘুমানোর সময় গণেশনকে সাপে কামড়ায়।পোড্ডাতুরপেট্টাই পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। মাঝে বিমা সংস্থা পরিবারের দাবির বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। তখনই ঘটনাটি নতুন মোড় নেয়। গণেশনের নামে মোট ১১টি জীবনবিমা পলিসি ছিল, যার মধ্যে চারটি গত ছয় মাসের মধ্যে নেওয়া। সব মিলিয়ে বিমার অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় ৩ কোটি টাকা, যা একজন সাধারণ সরকারি কর্মচারীর আয় এবং পরিবারের আর্থিক অবস্থার তুলনায় অনেক বেশি। বিমা সংস্থা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে, মামলাটি নতুন দিকে এগোতে শুরু করে।
advertisement
6/10
তিরুভাল্লুরের পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ শুক্লা ৬ ডিসেম্বর ডেপুটি পুলিশ সুপার সি. জয়শ্রীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করেন। তদন্তে ছেলেদের কল রেকর্ড, মোবাইল চ্যাট এবং ব্যাঙ্ক লেনদেন খতিয়ে দেখা হয়। জানা যায়, গোটা পরিবার গুরুতর আর্থিক সমস্যায় ভুগছিল, তাদের উপর একাধিক ঋণের বোঝা ছিল এবং মৃত্যুর আগে কিছু সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনও হয়েছিল।
advertisement
7/10
পুলিশের তদন্তে জানা যায়, মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেও গণেশন সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তবে সে বার তিনি বেঁচে যান। পুলিশের মতে, সেটিই ছিল খুনের প্রথম ব্যর্থ চেষ্টা। অভিযোগ, মোহনরাজ ও হরিহরণ বাড়ির মধ্যে একটি গোখরো সাপ ছেড়ে দেয়, যা গণেশনের পায়ে কামড়ায়। প্রতিবেশীরা দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু তাতেও ছেলেরা তাদের পরিকল্পনা থেকে সরে আসেনি।
advertisement
8/10
পুলিশের দাবি, ২২ অক্টোবর সকালে তারা আরও একটি প্রাণঘাতী সাপ—রাশেলস ভাইপার বা ক্রেইট—জোগাড় করে। এই সাপটি মানাভুরের জঙ্গল থেকে আনা হয়েছিল। গাড়িতে করে বস্তায় ভরে গণেশনের বাড়িতে আনা হয় সাপটি। রাতে সাপটি ছেড়ে দেওয়া হয়। গণেশনের ঘাড়ে তিনবার কমাড়ায় সাপটি।
advertisement
9/10
একটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে এক পুলিশ আধিকারিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “মৃত্যু নিশ্চিত করতেই এটি ছিল ইচ্ছাকৃত হামলা।” পুলিশের দাবি, প্রমাণ লোপাট করে ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলে দেখানোর জন্য সাপটি মেরেও ফেলে দধি ছেলে। এছাড়াও, গণেশনকে দেরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
advertisement
10/10
মৃত্যুর পর ছেলেরা বিমার টাকা দাবি করলে বিমা সংস্থার সন্দেহ থেকেই এই ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস হয়। ১০ দিনের তদন্তের পর পুলিশ ৬ জন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে। পুলিশ একটি গাড়ি, একটি মোটরসাইকেল এবং একাধিক মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। সব অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয়েছে এবং বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।