যোগী আদিত্যনাথ সরকার চাইছে অযোধ্যাকে উত্তর ভারতের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে৷ খুব শীঘ্রই 'অযোধ্যা তীর্থ উন্নয়ন বোর্ড' গঠন করতে চলেছে যোগী সরকার৷ কী ভাবে অযোধ্যাকে রাম-তীর্থস্থান গড়ে তোলা যায়, সে বিষয়টি দেখবে এই বোর্ড৷ অযোধ্যাকে দেশের অন্যতম বৃহত্ ধর্মীয় পর্যটন গড়তে সময়সীমা রাখা হয়েছে ৪ বছর৷
advertisement
দেশ-বিদেশের পর্যটকরা যাতে সহজেই অযোধ্যায় পৌঁছতে পারেন, তার জন্য অযোধ্যায় একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা হবে৷ সেই বিমানবন্দর সম্ভবত আগামী বছর রামনবমীতেই উদ্বোধন করা হবে৷ অযোধ্যা রেল স্টেশনকে ঢেলে সাজাতে ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
অযোধ্যার মেয়র রাকেশ উপাধ্যায়ের কথায়, 'অযোধ্যাকে কী ভাবে সাজানো হবে, তার পরিকল্পনা ছকে ফেলেছে সরকার৷ খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত পরিকল্পনা জনসাধারণকে জানানো হবে৷' একটি বাস টার্মিনাস গড়া হচ্ছে৷ যেখানে একসঙ্গে ৩ থেকে ৪ হাজার বাস দাঁড়াতে পারবে৷ মুখ্যমন্ত্রী ওই প্রকল্পে অনুমোদন দিলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে৷ অযোধ্যা আগে ফৈজাবাদ জেলার অধীনে একটি শহর ছিল৷ যোগী অদিত্যনাথ ২০১৮ সালে অযোধ্যাকে জেলার তকমা দিয়েছে৷
সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের পর্যটন দফতরের ইচ্ছে, ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রাস্তা নির্মাণ করা হবে৷ পুরো রাস্তাতেই রামের জীবনী আঁকা থাবে৷ সুরায়ু নদীতে ভাসবে একটি প্রমোদতরী৷ ৫ তারা হোটেল, রিসর্টে ছেয়ে যাবে গোটা অযোধ্যা৷ রাম মন্দির নির্মাণ যাতে দ্রুত শেষ হয়, তার জন্য আরও ২ হাজার শ্রমিককে নিয়োগ করছে সরকার৷