অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি বিজেপির থেকে মোটামুটি অর্ধেক আসন পেয়ে বিরোধী আসনে বসতে চলেছে। গত বারের থেকে সমাজবাদী পার্টির ভোট ও আসন বাড়লেও প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কমই এগোতে পারল সপা। বিরোধীদের আশা ছিল, বিজেপি-র শক্ত ঘাঁটি পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ভোট ভাগাভাগির রাজনীতি করতে পারবে না গেরুয়া শিবির। জাঠ-মুসলিম ভোট, গঙ্গায় লাশ, কৃষক আন্দোলন সব নিয়েই আশাবাদী হয়ে পড়েছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু বাস্তব দেখাল অন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: নিছক ছায়াশরীর নয়, বোঝা যাচ্ছে মুখাবয়ব! পৃথিবীর স্পষ্টতম ভূতের ছবি ধরা দিল ক্যামেরায়!
কিন্তু বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিল মোদি-যোগী জুটি। বাকি আরও চার রাজ্যে ভোট থাকলেও গোটা দেশের নজর ছিল যোগীরাজ্যেও। শেষ কয়েক মাস নরেন্দ্র মোদিও কার্যত ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন উত্তর প্রদেশে। তারই সুফল তুলল গেরুয়া শিবির। সেই সঙ্গে ছিল 'বুলডোজার বাবা'র কেরামতি। আদিত্যনাথের 'ডোন্ট কেয়ার' মনোভাব যে বিজেপিকে ডিভিডেন্ট দিল, তা রীতিমতো স্পষ্ট হয়ে গেল। সেই সঙ্গে মহিলা ভোটারদের ঢালাও সমর্থন পেলেন যোগী। যা দশ মাস আগে এ রাজ্যে পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মহিলা ভোটের উপর ভরসা করেই তড়তড়িয়ে ভোট বৈতরণী পেরোলেন যোগী আদিত্যনাথ।
আরও পড়ুন: "জনগণের রায় মেনে নিন", পাঁচ রাজ্যের ফলাফল স্পষ্ট হতেই দলীয় কর্মীদের বার্তা রাহুলের...
মহিলা ভোটারদের সমর্থন পেতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মহিলাদের জনধন প্রকল্প, করোনাভাইরাসের সময় রেশন প্রদান সহ যে সব প্রকল্প চালু করা হয়েছে, তার সুবিধা পেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মহিলারা। সেইসঙ্গে তিন তালাক রদের মতো বিষয়গুলিও গেরুয়া শিবিরের পক্ষেই গিয়েছে। সেইসঙ্গে বিজেপির প্রচার ছিল, মেয়েরা সন্ধ্যায় সুরক্ষিতভাবে বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন। উন্নাও, হাথরাসের মতো ঘটনা ঘটলেও বিজেপির সেই প্রচার যে সাফল্য পেয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই পুরুষদের ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে বিরোধী দলগুলির ভোটের পার্থক্য তেমন বেশি না হলেও মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশাল ফারাক বিজেপি-কে এগিয়ে দিয়েছে অনেকটাই।