মগহরে সন্ত কবির নগরের মহোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানের গণবিবাহে উপস্থিত থেকে এক দিকে যেমন ৬০০ দম্পতিকে আশীর্বাদ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তেমনই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের, মোট ১১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করেছেন তিনি ৩৬০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন– টেনিস খেলোয়াড় কন্যার জন্য কাতর আর্জি এক অসহায় বাবার; অথচ তাতেও মন গলল না বিমান সংস্থার
advertisement
গণবিবাহ প্রকল্প এবং সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন যে সরকারের এই কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি মানুষের জীবনে সদর্থক পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে উঠছে। এ দিন বিকেল ৩টে ২০ নাগাদ মগহরের কবির চৌরায় পৌঁছন তিনি। প্রথমেই তিনি সাধক কবির সমাধি দর্শন করেন। এরপর তিনি গণবিবাহ প্রকল্পের আওতায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ৬০০ নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করেন।
এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে কথা বলতে যোগী জানান যে এক সময়ে বলা হত মগহর নরকের সমতুল্য। এখানকার জল এবং মাটি দুই ছিল লবণাক্ত। কিন্তু সন্ত কবিরের কৃপায় তা উর্বর হয়ে ওঠে। ঠিক সেভাবেই এবার সরকারের সহায়তায় মগহর আরও উন্নত হবে, প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানান যে বাখিরা লেককে ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলেদের জন্য বার্ড ওয়াচিং ও মাছ চাষের জন্য বাখিরা লেকে বিশেষ প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাবা তমেশ্বর নাথ ধামকেও একটি পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলা হবে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন– রাশিফল ৫ ফেব্রুয়ারি- ১১ ফেব্রুয়ারি; দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ
নিরাপত্তার দিক থেকে জেলায় একটি ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে জানিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে পুরো জেলা এক জায়গা থেকেই নজরদারি করা যাবে। এই সময়, মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেন যে কেউ যদি কোনও মহিলার শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে বা চুরি বা ডাকাতি করার চেষ্টা করে, তবে ঘটনাস্থল ছেড়ে পরবর্তী মোড়ে পৌঁছনোর আগেই “রাম নাম সত্য হো জায়েগা”। এই জেলায় মেডিক্যাল কলেজ ও বাস থামানোর জন্য সড়কপথ নির্মাণের জন্য জমি অনুসন্ধান করা হচ্ছে, তাও বলতে ভোলেননি।
রাজ্য ও জেলায় উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, যখন দেশ শক্তিশালী ও সক্ষম হয়, তখন আপনা থেকেই সমৃদ্ধি আসতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে তিনি বলেন যে শ্রদ্ধেয় মোদিজির নেতৃত্বে দেশের গর্ব বেড়েছে এবং সকলের গর্ব বেড়েছে। আজ দেশের ১৪০ কোটি মানুষ গর্বিত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই দেশ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। জনসাধারণের কাছে তাই যোগী ২০২৪ সালে আবারও মোদিজিকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার আবেদন করেন যাতে এবার ভারত অন্তত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে।