অত্যন্ত পুষ্টিকর
অন্যান্য ফলের মতো নারকেলে কার্বোহাইড্রেটের চেয়ে বেশি ফ্যাট থাকে। এছাড়াও এই ফলে আছে প্রোটিন। যদিও এই ফলে উপস্থিত ভিটামিনের পরিমাণ সামান্য। কিন্তু নারকেলে আছে খুব জরুরি কিছু খনিজ। এই ফলে আছে ম্যাঙ্গানিজ যা হাড় সুরক্ষিত রাখে। আছে আয়রন এবং কপারও।
হার্ট ভালো রাখে
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে পলিনেশিয়ার একটি দ্বীপের বাসিন্দাদের হার্ট অ্যাটাক কম হয়। কারণ তাঁরা বেশি করে নারকেল খান। নারকেলের তেল কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। শুকনো নারকেল খেলে পেটের মেদও কম হয়।
advertisement
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে
আগেই বলা হয়েছে যে নারকেলে ফ্যাট থাকে বেশি। তাই এই ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। ইঁদুরদের উপর নারকেলের এই গুণের সফল পরীক্ষা করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে যে নারকেলে উপস্থিত আরজিনাইন বলে একটি উপাদান অগ্ন্যাশয়ের কোষের কাজে সাহায্য করছে। আরজিনাইন এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড। এছাড়াও এই ফলে প্রচুর ফাইবার থাকে বলে খাবার হজমে সুবিধা হয়। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত থাকে।
প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে
নারকেলে আছে ফেনোলিক কম্পাউন্ড। যেমন গ্যালিক, ক্যাফেইক, স্যালিসাইক্লিক এবং পি-কুমারিক অ্যাসিড। এগুলো সবই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এদের কাজ হল কোষের ক্ষয় রোধ করা।
ডায়েটে রাখা সহজ
নারকেল এমন একটি ফল যা সারা বছর পাওয়া যায়। তাই এটি ডায়েটে রাখা খুব সহজ। মাছ বা মাংসে এই ফলের দুধ বা এই ফল দিয়ে রান্না করা যায়। আবার এমনিতেও এই ফল খাওয়া যায়। তবে বাজারচলতি কিছু প্যাকেটজাত দ্রব্য যারা শুদ্ধ নারকেলের দুধ বিক্রি করছে বলে দাবি করে, সেই বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। কারণ এই জাতীয় দ্রব্যে অতিরিক্ত চিনি থাকে। নারকেল দিয়ে নাড়ু, মিষ্টি, কুকি ও মাফিনও তৈরি করা যায়।