স্বামী ও প্রেমিকের সঙ্গে বেডরুমে মদ্যপানের পার্টির সময় তুমুল বিতর্ক বাঁধে এবং তারপর মহিলাকে হত্যা করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতল উদ্ধার করেছে এবং অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ঝাঁসির বাঁদা কোতোয়ালি থানা এলাকার লক্ষ্মী গেট বাহার এলাকায়। প্রাক্তন মন্ত্রী রতনলাল অহিরওয়ারের ভাই তুলসীদাসের ছেলে রবি আহিরওয়ার তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা ও তিন সন্তানকে নিয়ে এখানে থাকতেন। পরিবারের বড় মেয়ে অ্যাঞ্জেলের মতে, বৃহস্পতিবার রাতে রোহিত বাল্মীকি নামে এক ব্যক্তি বাড়িতে মদ নিয়ে আসে। এরপর মা সঙ্গীতা, বাবা রবীন্দ্র এবং রোহিত একসঙ্গে বেডরুমে যান এবং আমাদের (তিন সন্তানকে) ভাড়াটেদের কাছে উপরে পাঠিয়ে দেন। গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে মদের আসর চলতে থাকে।
advertisement
অ্যাঞ্জেল জানিয়েছেন, প্রায় এক ঘণ্টা পর তারা তিন ভাইবোন নিচে ফিরে আসেন এবং অন্য ঘরে চলে যান। কিছুক্ষণ পর বেডরুম থেকে প্রচণ্ড চিৎকার ও মারধরের শব্দ আসতে থাকে। তখন সে দৌড়ে গিয়ে বেডরুমের দরজা ধাক্কায়। দরজা খোলেন রোহিত, হাতে ১০০ টাকা দিয়ে বলেন, ‘‘বাইরে যাও, কিছু কিনে আনো।’’ এরপর আবার দরজা বন্ধ করে দেন এবং ভেতর থেকে মারধরের আওয়াজ আসতে থাকে।
মেয়েটি দৌড়ে গিয়ে বাড়ির ভাড়াটিয়া শংকুতলার কাছে সাহায্য চায়। শংকুতলা নিচে এসে দরজা খুলতে চেষ্টা করেন, কিন্তু দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। তখনই তিনি ১১২ নম্বরে ডায়াল করে পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং ভেতরের দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যায়। বিছানার পাশে মহিলার নিথর দেহ পড়ে ছিল, আর সোফায় শুয়ে ছিল তার স্বামী রবীন্দ্র। পুলিশ ঘর থেকে মদের তিনটি বোতল উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত স্বামী ও প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহিলার চোখ ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে। পুলিশের অনুমান, পার্টির সময় ঝগড়ার পর মহিলাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আপাতত তদন্ত চলছে এবং খুব শীঘ্রই হত্যার আসল কারণ সামনে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।