এইমস-এর এক মহিলা চিকিৎসক সম্প্রতি পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, হাসপাতালের হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর দুটি সোনার চেন, আংটি, কানের দুল, ব্রেসলেট, নগদ সাড়ে চার হাজার টাকা এবং অল্প কিছু বিদেশি মুদ্রা চুরি গিয়েছে৷ সেই অভিযোগের তদন্তে নেমেই গাজিয়াবাদের বাসিন্দা ৪৩ বছরের এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
আরও পড়ুন: কলার ধরে পর পর চড় স্ত্রীর, বিয়ের পর করুণ অবস্থা রেলকর্মীর! ভিডিও ভাইরাল হতেই শায়েস্তা গৃহবধূ
advertisement
তদন্তে নেমে হাসপাতালের একশোটিরও বেশি সিসিটিভি-র ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ৷ সেই ফুটেজের মধ্যে থেকেই চিকিৎসকদের সাদা কোট পরিহিত এক সন্দেহভাজন মহিলাকে চিকিৎসকদের হস্টেলের ভিতরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়৷ চিকিৎসকরা ডিউটিতে চলে যাওয়ার পর ফাঁকা হস্টেলে ঘুরতে দেখা যায় ওই মহিলাকে৷ বেশ কয়েকটি ঘরের দরজা খুলে ঢোকারও চেষ্টা করেন তিনি৷
অন্য সিসিটিভি ফুটেজে ওই মহিলাকে একটি স্কুটিতে করে এইমস হাসপাতাল চত্বরে ঢোকার ছবি ধরা পড়ে৷ সেই স্কুটির নম্বরের সূত্র ধরেই গাজিয়াবাদের ব্রিজ বিহার এলাকায় ওই মহিলার ঠিকানায় পৌঁছে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ আর তাকে জেরা করেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷
ধৃত মহিলা জানিয়েছেন, তিনি বিজ্ঞানে একজন স্নাতক এবং মেডিক্যাল ল্যাব টেকনলজিতেও ডিপ্লোমা ডিগ্রি রয়েছে তাঁর৷ তবে বরাবরই সোনার গয়নার প্রতি আকর্ষিত হন তিনি৷ কিন্তু গয়না কেনার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই তাঁর৷ সেই কারণেই গয়না চুরির নেশা পেয়ে বসে তাঁকে৷
ওই মহিলা জানান, দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন তিনি৷ কাজের সূত্রে এইমস হাসপাতালে এসে তিনি লক্ষ্য করেন, ডিউটিতে বেরনোর সময় হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকরা হস্টেলে নিজেদের ঘরে তালা দেন না৷ এর পরেই চিকিৎসকদের পরার একটি সাদা কোট জোগাড় করেন ওই মহিলা৷ যাতে তাঁকে দেখে কারও সন্দেহ না হয়৷ সেই সাদা কোট পরেই এইমস হাসপাতালের হোস্টেলে ঢুকে হাতসাফাই করেন তিনি৷