শেষ পর্যন্ত মাওবাদীরা অপহৃত ইঞ্জিনিয়ার এবং এক কর্মীকে মুক্তি দিলেও এখনও জঙ্গল থেকে ফেরেননি সোনালী৷ তাঁর সঙ্গে রয়েছে আড়াই বছরের শিশুকন্যাও৷ তবে সোনালীর সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক এবং পুলিশ আধিকারিকদের ফোনে যোগাযোগ রয়েছে৷
আরও পড়ুন: হুড়হুড় করে ঢুকল গাড়িটি, আরোহীর শরীরে 'চিপ', অজিত ডোভালের বাড়িতে মারাত্মক কাণ্ড
advertisement
গত ১১ ফেব্রুয়ারি একটি নির্মাণ সংস্থায় কর্মরত অশোক পাওয়ার নামে ওই ইঞ্জিনিয়ার এবং আনন্দ যাদব নামে এক শ্রমিককে অপহরণ করে মাওবাদীরা৷ তাঁদেরকে অবুঝমাদের গভীর জঙ্গলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায় মাওবাদীরা৷ ওই ইঞ্জিনিয়ার এবং শ্রমিক একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার হয়ে স্থানীয় একটি নদীর উপরে ব্রিজ নির্মাণের কাজে যুক্ত ছিলেন৷
অশোক পাওয়ার নামে ওই ইঞ্জিনিয়ার আদতে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা৷
আরও পড়ুন: জন্মদিনেই মৃত্যুদিন ২ বছরের শিশুর, খেলতে খেলতে পড়ে গেল ফুটন্ত ডালের কড়াইয়ে
অশোক পাওয়ারের অপহরণের খবর পেয়ে তাঁর স্ত্রী সহ গোটা পরিবার ছত্তীসগড়ে চলে আসে৷ এর পর স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে বিজাপুর এবং নারায়ণপুর জেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবুঝমাদের গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করেন সোনালী৷ পাঁচ বছরের বড় মেয়েকে অবশ্য পরিবারের কাছেই রেখে যান সোনালী৷
এদিকে সোনালী জঙ্গলে ঢুকলেও ততক্ষণে তাঁর স্বামী এবং অপহৃত শ্রমিককে মুক্তি দেয় মাওবাদীরা৷ তাঁদেরকে উদ্ধার করে বিজাপুরের কাছে কুতরুতে নিয়ে গিয়ে রাখে পুলিশ৷ বিজাপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই সেখানে পৌঁছবেন সোনালী৷