জানা গিয়েছে, ওই মহিলার ছোট সন্তান তাঁর বাবা এবং তাঁর ঠাকুমা একমাত্র সাক্ষী এই গোটা অত্যাচারের।
এই প্রসঙ্গে তাঁর ছোট ছেলে কান্নায় ভেঙে পরে বলে, “প্রথমে মায়ের গায়ে কিছু একটা ঢেলে দেয় তারপর মাকে চড় মারে। এরপরে লাইটার দিয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় তাঁর মাকে তাঁর বাবা হত্যা করেছে কিনা? তখন সে সম্মতি জানায়।
advertisement
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম নিক্কি মূলত পণ নিয়ে ঝামেলা থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। নয় বছর আগে গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দা বিপিন বিহারির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।
মৃতার বড় বোনেরও একই পরিবারে বিয়ে হয়েছে। তাঁর বড় বোন কাঞ্চন জানান, পণের ৩৬ লক্ষ টাকার জন্য বহুদিন ধরেই নিক্কিকে চাপ দিচ্ছিল বিপিনের পরিবার। তা দিতে না পারায় গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই পণের জন্য তাঁকেও যথেষ্ট লাঞ্ছিত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কাঞ্চন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের শাশুড়িরা প্রচণ্ড অত্যাচার করত। আমাদের ৩৬ লক্ষ টাকা পণের জন্য চাপ দেওয়া হত। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা থেকে ৪টে পর্যন্ত আমার উপর অত্যাচার করা হয়। আমাদের বলা হয় আমরা মরে গেলেই ভাল।”
অভিযোগ এরপরেই গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় নিক্কির। কাঞ্চন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কাসনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃতার স্বামী, তাঁর দেওর, এবং শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা এখনও পলাতক।