দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া-তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোডে মঙ্গলবার ভোররাতে এই ঘটনা ঘটে৷ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই তরুণীকে প্রায় তিন ঘণ্টা গাড়ির ভিতরে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়েছে৷ গভীর রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যে ফরিদাবাদের বিভিন্ন নির্জন এলাকায় গাড়িটি ঘোরানো হয়৷ ফলে ওই তরুণী কারও কাছে চিৎকার করে সেভাবে সাহায্যও চাইতে পারেননি বলে পুলিশ সূত্রে দাবি৷
advertisement
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কোতওয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ফরিদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ দু জন সন্দেহভাজনকে আটক করে৷
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ওই নির্যাতিতা একজন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে বেরোন৷ মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করার পর রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই নির্যাতিতা৷ নিজের বোনকে তিনি জানিয়েছিলেন, দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে তিনি বাড়ি ফিরে আসবেন৷
যদিও বাড়ি ফেরার সময় রাত হয়ে যাওয়ায় কোনও যানবাহন পাননি তিনি৷ বাধ্য হয়ে একটি ভ্যানে লিফট নেন তিনি৷ সেই গাড়িটিতে আগে থেকেই দুই অভিযুক্ত ছিল৷ অভিযোগ গাড়িতে তোলার পরই নির্যাতিতার বলে দেওয়া গন্তব্যের দিকে না গিয়ে গাড়িটিকে গুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোডের দিকে নিয়ে যান দু জন৷ একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে দুই অভিযুক্ত৷ প্রচণ্ড ঠান্ডা এবং কুয়াশার মধ্যে রাস্তায় সেভাবে মানুষজন না থাকায় নির্যাতিতা কারও থেকে সাহায্যও চাইতে পারেননি৷ এর পর মঙ্গলবার ভোর রাত তিনটে নাগাদ ওই তরুণীকে চলন্ত গাড়ি থেকে এসজিএম নগরের রাজা চক এলাকার মুলা হোটেলের কাছে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়৷
সেখান থেকেই নিজের বোনকে ফোন করেন ওই নির্যাতিতা৷ তিনি ঘটনাস্থলে এসে ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যান৷ চিকিৎসকরা তাঁকে দিল্লির হাসপাতালে রেফার করেন৷ কিন্তু নির্যাতিতার পরিবার তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
