বিহারে এনডিএ পেয়েছে মোট ১২৫ টি আসন। কিন্তু এই আসনের সিংহভাগই এসেছে বড় শরিক বিজেপির হাত ধরে। জেডিউ পেয়েছে ৪৩টি আসন। তথ্য দিয়ে বিচার করলে তাঁর দল তৃতীয় দল। অন্য দিকে,৭৫ টি আসনের অধিকারী আরজেডি বিহারের সবচেয়ে বড় দল। মোদি যতই জঙ্গলের যুবরাজ বলুন,জোট সমীকরণ না থাকলে বিহারের মসনদে আজ বসতেন তেজস্বী যাদব। রূঢ় বাস্তব হল, তেজস্বীর তারুণ্যে মজেছে বিহারের বড় অংশ। এই পরিস্থিতিতে, বিজেপি যদি কথা রাখে তবে মুখ্যমন্ত্রী হবেন 'সুশাসনবাবু' নীতীশকুমার। কিন্তু সেই মুখ্যমন্ত্রীত্ব কি দাঁত নখ উপড়ে যাওয়া রাজার রাজমুকুটই নয়?
advertisement
অনেকে বলছেন এমনটা হতে পারে ভেবেই নীতীশ গান গেয়ে রেখেছিলেন অবসরের এবং বুঝেশুনে পা বাড়িয়েছিলেন জোটের রাস্তায়। তবে চোরকাঁটা শুধু নীতীশেরই নয়, বিঁধেছে গেরুয়া চাদরেও। কারণ নীতীশকে মেনে নেওয়া ছাড়া কোনও পথ খোলা নেই তাদের কাছে। বরং রয়েছে অতীতের ভয়ের ছায়া।
সদ্যই মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে সংঘাতের জেরে হাতছাড়া হয়েছে মহারাষ্ট্রের মতো বড় রাজ্য। তার মাশুলও গুণতে হয়েছে। কাজেই সততা না দেখালে দুর্বল নীতীশই বাঘনখের থাবা দিতে পারেন। পাল্টির নজিরে তিনি সুবিদিত। ২০১৫ সালেই এক কথায় জোট ভেঙেছিলেন তিনি, যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির সঙ্গে। সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হলে পাশা উল্টে যাবে বিহারে।
সেই ভয় থেকেই কাল থেকে নীতীশের বাড়িতে বিজেপি নেতাদের ভিড়, পেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন। বিজেপি বলছে, ১০ টি আসন পেলেও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই আখ্যানকে ট্র্যাজিকমেডি বললে কি কিছু ভুল বলা হবে?