মঙ্গলবার আন্দোলনরত কৃষকদের কাছেও পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, "প্রত্যেক দু'দিনে আমাদের চিকিৎসকরা কৃষকদের পরীক্ষা করবেন ৷ তাঁদের প্রয়োজনীয় কিট, ওষুধ, অক্সিমিটার দেওয়া হচ্ছে ৷"রাজ্যের করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ ৷ রাজ্যের পর্যবেক্ষণ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, হরিদ্বারের কুম্ভ মেলা থেকে রাজ্যে ঢোকার পথে প্রতিটি চেক-পয়েন্টে তীর্থযাত্রীদের করোনা পরীক্ষা অবশ্যই করতে হবে ৷রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি জানিয়েছেন যে, এখুনি হরিয়ানায় কোনো লকডাউন নয়৷
advertisement
অন্য রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের কাছে ভিজের আর্জি "গুজবে কান না দিয়ে আগের মতোই কাজ চালিয়ে যান"৷ সংলগ্ন রাজ্য দিল্লির থেকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, বেড আর ওষুধ যথেষ্ট পরিমাণে মজুত আছে ঘোষণা করে মানুষকে ভরসা জুগিয়েছেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷
স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, হরিয়ানার বর্তমান অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৪২০০০-এর বেশি ৷ আর তার বেশিরভাগই দিল্লির গুরগাঁও, ফরিদাবাদ, সোনিপাতের বাসিন্দা ৷ তবে মোট অ্যাকটিভ রোগীর মধ্যে ৩০,০০০ রোগীকে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে ৷ মেডিক্যাল অক্সিজেনের অভাব বা তা নিয়ে কোনও কালোবাজারি হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছে ড্রাগ আর পুলিশ কর্তৃপক্ষ৷ হরিয়ানায় করোনা সংক্রমণের কোনো রকম লক্ষণ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে ৷ রাজ্যের কোথাও কোনো ধর্মীয়, রাজনৈতিক আর সামাজিক জমায়েতের ক্ষেত্রে কড়া নিরাপত্তাবিধি মেনে চলতে হবে ৷ দেশজুড়ে চরম দুরবস্থা চললেও রাজ্যবাসীর জন্য আশার বাণীই শোনালেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৷