রাজনৈতিক মহলের মতে, এই জয়ের নেপথ্যে যে মানুষটি দিনরাত এক করে দিয়েছেন তিনি অবশ্যই ত্রিপুরার সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। টানা ১০ মাস ধরে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে মন দিয়েছেন সংগঠনেও। ত্রিপুরা বিজেপির অনেকেই এখন বলছেন, ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতা পার্টির প্রত্যাবর্তনে অনেকটাই কাজ করেছে মানিক ম্যাজিক।
আরও পড়ুন: পরনে সুতির শাড়ি, পায়ে হাওয়াই চপ্পল! ত্রিপুরার 'দিদি' প্রতিমা ভৌমিকই কি বিজেপির 'মমতা'?
advertisement
সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এরপর পার্টির পক্ষ থেকেই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। রাজনীতির কারবারিদের কাছে অতি 'ভদ্রলোক' হিসাবেই পরিচিত এই মানিক সাহাই কি হতে চলেছেন সেই মুখ? জল্পনা তুঙ্গে।
২০২৩-এ বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেও ত্রিপুরায় একাধিকবার গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। আর নির্বাচন ঘোষণার পরেও কয়েক দফায় নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে ছুটে গিয়েছেন তাঁরা। বারবার তাঁদের মুখো শোনা গিয়েছে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কথা। আর ত্রিপুরা বিজেপির একাংশের দাবি, এই ডাবল ইঞ্জিন সরকারে রাজ্যে কাণ্ডারীর ভূমিকায় ছিলেন মানিক সাহা।
আরও পড়ুন: রফায় রাজি! তবে মানতে হবে দাবি, বিজেপি-কে কী শর্ত দিলেন তিপ্রামোথার মাণিক্য?
গত ১০ মাসে মানিক সাহার একাধিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের পথ প্রশস্ত করেছে। তাঁর আমলেই ত্রিপুরায় শুরু হয়েছে 'সুশাসন অভিযান'-এর মতো প্রকল্প। 'আমার সরকার' নামের ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকার সমস্যার সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে পেরেছেন আমজনতা। তবে মানিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল ডিএ। তিন দফায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য মোট ২০ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছিল মানিকের আমলে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানিক সাহার পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে ধনপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী প্রতিমা ভৌমিকের নামও। কোনও শিবিরই এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য না করলেও, মোদি-মানিকের জুটি যে খুব একটা খারাপ ছিল না তা এক কথায় স্বীকার করছেন ত্রিপুরা বিজেপির একাংশ।