আটক হওয়া শ্রমিকদের নাম — আবু হাসনাত, আমির হোসেন, রাজ্জাক হোসেন, আয়নাল হক, লতিবুল হক, মহম্মদ নুরনবী ও হোসেন সেখ। জানা গিয়েছে, কেউ নির্মাণ শ্রমিক, কেউ হোটেলে কাজ করতেন, কেউ ফেরির ব্যবসা করতেন। সকলেরই জীবিকা নির্বাহের একমাত্র ভরসা ছিল উড়িষ্যায় শ্রমদানের কাজ।
বর্ষায় ঘরে-বাইরে কিলবিল করছে সাপ? দরজার সামনে ছিটিয়ে দিন এই ‘গুঁড়ো’! সুরক্ষিত থাকবে পরিবার ও সন্তান!
advertisement
চারদিন আগে হঠাৎই উড়িষ্যার পুলিশ ওই সাতজনকে তাদের বাসস্থান থেকে তুলে নিয়ে যায়। অভিযোগ, শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে তাঁদের ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক করা হয়। এরপর থেকেই ওই সাতজনের আর কোনও খোঁজ নেই। ফোন বন্ধ, কোনো সরকারি তথ্যও মেলেনি।
কোনোভাবে ঘটনার সময় পালিয়ে আসে জালিবাগিচার আরও কয়েকজন যুবক। তাঁদের মাধ্যমে খবর পৌঁছায় গ্রামে। আর তাতেই উৎকণ্ঠায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। চোখের জল থামছে না পরিজনদের। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। দাবি, দ্রুত তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
গ্রামের প্রধান কাওশেখ আহম্মেদের বক্তব্য, “এটা একটা সুপরিকল্পিত অত্যাচার। এনআরসি নিয়ে বাংলার মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করতেই উড়িষ্যার বিজেপি সরকার এই পথ নিচ্ছে। এটা অন্যায়, নিছক পরিচয়ের নামে নিরীহ শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে।”
এখনও পর্যন্ত উড়িষ্যা পুলিশ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও সরকারি বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সাতজন শ্রমিক কোথায়, কী অবস্থায় রয়েছেন, তাও অজানা। উদ্বেগ বাড়ছে পরিবার এবং গোটা গ্রামে।