সাংবাদিক বৈঠকে অরুণ জেটলি জানান, ৩০ জুন-১ জুলাই মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হবে অভিন্ন কর নীতি ৷ সংসদের সেন্ট্রাল হলে পণ্য ও পরিষেবা করের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ৷ উপস্থিত থাকবেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ৷
GST চালুর পর সম্পূর্ণ বদলে যেতে চলেছে ভারতের অর্থনীতি ৷ তার আগে আসুন জেনে নিই,
advertisement
পণ্য ও পরিষেবা কর কী?
একটি বিশেষ কর ব্যবস্থা যা বর্তমান পরোক্ষ করের পরিবর্তে কার্যকর হবে ৷ পণ্য এবং পরিষেবা, দু'টির উপরই কার্যকর হবে জিএসটি ৷ এই কর ব্যবস্থার দু'টি স্তর বা কাঠামো। কেন্দ্রীয় জিএসটি এবং রাজ্য জিএসটি ৷ পণ্য ও পরিষেবা কর চালু হলে কেন্দ্রে ও রাজ্যের একাধিক কর বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
কেন্দ্রীয় করের বিলুপ্তিতে রয়েছে, সেন্ট্রাল এক্সাইজ ডিউটি, অতিরিক্ত আবগারি ও কাস্টম ডিউটি, স্পেশাল অ্যাডিশনাল ডিউটি অফ কাস্টমস বা স্যাড, পরিষেবা কর ৷ পণ্য ও পরিষেবা প্রদানে সেস ও সারচার্জ ৷
রাজ্যের করের বিলুপ্তি রয়েছে, ভ্যাট, কেন্দ্রীয় বিক্রয় কর, পারচেজ ট্যাক্স, লাক্সারি ট্যাক্স, প্রবেশ কর, বিনোদর কর, বিজ্ঞাপন, লটারি, বাজি ও জুয়ায় কর, স্টেট সেস অ্যান্ড সারচার্জ ৷
অর্থনীতিবিদের একটা বড় অংশের মতে, জিএসটি চালু হওয়ার পর লাভবান হবে দেশের অর্থনীতি। উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষও। জিএসটির সুবিধা হল করফাঁকি রোধ, কমবে করের হার, কমবে কর ব্যবস্থার জটিলতাও, ব্যবসা-বাণিজ্যের সরলীকরণ, বাড়বে জাতীয় আয় ৷ জিএসটি চালু হওয়ার পর দেশের GDP ১.৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে ৷
কিভাবে ধার্য হবে জিএসটি?
পণ্য বা পরিষেবার ক্ষেত্রে এবার থেকে শুধু মাত্র একটি করই দিতে হবে তাই হল GST ৷ এখন কোনও পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে, তা বিক্রির জায়গা পর্যন্ত নানা ধাপে কর দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যেগুলো বুঝতেও পারেন না ক্রেতা বা উপভোক্তা। পরতে পরতে কর না চাপিয়ে, দেশে একটি মাত্র কর ব্যবস্থা চালু করাই জিএসটির লক্ষ্য।
এই GST তিনরকম ভাবে ধার্য হবে ৷
১) কেন্দ্রের কর- সেন্ট্রাল GST বা CGST
২)রাজ্যের কর- সেস্ট GST বা SGST
৩) কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্মিলিত কর তা আদায় করবে কেন্দ্র- ইনন্টিগ্রেটেড GST বা IGST
পণ্য ও পরিষেবা শুধুমাত্র রাজ্যের মধ্যে হলে কর জমা হবে রাজ্যের কোষাগারে আর সেন্ট্রাল GST সরাসরি জমা হবে কেন্দ্রের রাজস্ব খাতে ৷