আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল ড. রাজীব বহেল জানিয়েছেন, গত ৮ ডিসেম্বর তিরুবনন্তপুরম জেলার কারাকুলাম থেকে একটি RT-PCR পজিটিভ নমুনায় আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বউয়ের পা ছুঁয়ে প্রণাম, শ্বশুরবাড়িতে দর্শনার ভাতকাপড়, নজির গড়লেন স্বামী সৌরভ
রোগী একজন ৭৯ বছরের মহিলা। যাঁর হালকা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণ রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
advertisement
JN.1 কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সারা বিশ্বে বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের সূত্রে খবর, এই ধরনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালকা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এবং তাদের বেশিরভাগই কড়া ওষুধ ছাড়াই সেরে উঠছে।
JN.1 কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে যা জানা দরকার-
১. এই ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। প্রশাসনের স্বাস্থ্য বিভাগকে বেশ সতর্ক করে তুলেছে।
২. এর আগে সিঙ্গাপুরে ভারতের এক পর্যটকের শরীরেও এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছিল।
৩. JN.1 সাব-ভ্যারিয়েন্ট প্রথম লুক্সেমবার্গে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তারপর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
৪. এটি পিরোলা প্রজাতির (BA.2.86) বংশের।
৫. এই বছরের সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় প্রথম আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল।
৬. গত ১৫ ডিসেম্বর চিনে এই সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ৭ জনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।
৭. আমেরিকা, ইংল্যান্ড, আইসল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল এবং নেদারল্যান্ডের মতো দেশে এখনও পর্যন্ত JN.1-এ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
৮. BA.2.86 ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে একটি জায়গায় আলাদা এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট JN.1।
৯. সিডিসি-র দাবি, করোনার টিকা সাধারণত ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে নষ্ট করার চেষ্টা করে। ভ্যাকসিন এই দুই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১০. তবে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের ব্যতিক্রমী চরিত্র হল, এটি স্পাইক প্রোটিনের মাধ্যমে মিউটেশন অর্থাৎ বংশবৃদ্ধি করে।
১১. বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ দেখা যায়। এবং রোগীরা প্রায় কোনও চিকিৎসা ছাড়াই বাড়িতে নিজেরাই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
১২. জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, এবং ছোটখাটো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলি JN.1 রূপের কিছু সাধারণ লক্ষণ।