সংসদে পেশ করা কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির তুলনায় বিরোধী রাজনৈতিক দল শাসিত রাজ্যগুলিতে মহিলাদের জনপ্রতিনিধিত্বের হার অনেক বেশি। এক্ষেত্রে সবার শীর্ষে থাকা প্রথম দুটিই বিরোধী রাজনৈতিক দল শাসিত রাজ্য। তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে কংগ্রেস শাসিত ছত্রিশগড়, দুইয়ে তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গ।
প্রসঙ্গত, মহিলা সংরক্ষণ বিল সংসদে পাস করাতে হলে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। গত কয়েক দশক ধরে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনা হলেও, সংসদে বিলটি আসেনি। অথচ প্রত্যেকবার নির্বাচনী প্রচারে মহিলা সংরক্ষণ বিল জায়গা করে নিয়েছে।
advertisement
বিধানসভার নিরিখে সারা দেশের মধ্যে মহিলা জনপ্রতিনিধিত্বে শীর্ষে বিরোধী-শাসিত দুটি রাজ্য ছত্তিশগড় এবং পশ্চিমবঙ্গ। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। তিনি জানিয়েছেন, ছত্তিশগড় বিধানসভায় মহিলা জনপ্রতিনিধির হার ১৪.৪৪ শতাংশ। এরপরই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের স্থান। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মহিলা প্রতিনিধিদের হার ১৩.৭০ শতাংশ।
সংসদে লোকসভা এবং রাজ্যসভাতেও মহিলা জনপ্রতিনিধিদের হার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। লোকসভায় মহিলা জনপ্রতিনিধিদের হার ১৪.৯৪ শতাংশ এবং রাজ্যসভায় মহিলা জনপ্রতিনিধির হার ১৪.০৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী কে? নাম বাছতে গিয়ে নাস্তানাবুদ কংগ্রেস
অন্যদিকে, সংসদে কবে মহিলা সংরক্ষণ বিল আনছে সরকার, সেই প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, "এই বিল আনতে বদ্ধপরিকর সরকার। তবে, এর জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। সংবিধান সংশোধন করতে হলে সংসদে দুই তৃতীয়াংশ সাংসদদের সহমত প্রয়োজন। তাই মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করার আগে সব রাজনৈতিক দলের সহমত হওয়া প্রয়োজন।"
আরও পড়ুন, পঞ্জাবের থানায় রকেট লঞ্চার হামলা, নেপথ্য়ে খলিস্তানি জঙ্গিরা? দেখুন ভিডিও
সরকারের এই বক্তব্যে মোটেই সন্তুষ্ট নয় বিরোধী শিবির। তাদের বক্তব্য, বহু বিতর্কিত বিল সংসদে পাস করিয়েছে সরকার এমনকি সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রেও বিরোধী রাজনৈতিক দলের আপত্তি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। তাহলে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে অযথা অজুহাত খাড়া করা হচ্ছে কেন বলে প্রশ্ন বিরোধী দলগুলির।