#শিলিগুড়ি: CAB এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে একযোগে পথে নামল বিনয়পন্থী মোর্চা এবং তৃণমূলের পার্বত্য শাখা। এই ইস্যুতে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ছে। অনির্দিষ্টকালের রেল রোকো, সাধারন ধর্মঘটে সামিল বিভিন্ন সংগঠন। চলছে আন্দোলন। এর প্রভাব আছড়ে পড়ছে শৈল শহরেও। আর এই ইস্যুতে ডিসেম্বরের নিম্নমুখী পারদেও পাহাড় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
advertisement
বুধবার থেকেই উত্তাপের আবহ শুরু পাহাড়ে। ক্যাব বিল পাস আদপে পাহাড়বাসীর কাছে কালো দিন। এতে পাহাড়বাসী কোনওভাবেই সুরক্ষিত নয়। পাহাড়ে তা চালু হতে দেওয়া হবে না। সেই দাবীকে সামনে রেখেই পাহাড় এবং রাজ্যের দুই শাসক দল একযোগে আন্দোলনে। বিনয়পন্থী মোর্চার সভাপতি বিনয় তামাংয়ের দাবী, জিএনএলএফ, বিমলপন্থী মোর্চা এবং বিজেপি এই বিল চালু করতে চাইছে।
যা পাহাড়বাসীর কাছে আতঙ্কের। প্রতিবেশী রাজ্য অসমে যেভাবে এনআরসি লাগু হয়েছে এবং লাখ লাখ লোক ভিটেছাড়া হয়েছে। তা কোনওভাবেই পাহাড়ে কার্যকরী করতে দেওয়া হবে না। লাখ লাখ পাহাড়বাসীর কাছে এই বিল বিপদের। বুধবার পাহাড়জুড়ে চলে দিনভর ধর্না। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের দফতরের ধর্ণার নেতৃত্ব দেন বিনয় তামাং নিজেই। কালিম্পং জেলাশাসকের দফতরের সামনেও চলে ধর্ণা। একইভাবে কার্শিয়ং এবং মিরিক মহকুমা শাসকের দফতরের সামনেও চলে বিনয়পন্থীদের ধর্ণা। আর তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে পার্বত্য তৃণমূল নেতৃত্ব। যা আন্দোলনকে আরো জোরালো করেছে।
এই ইস্যুতে পাহাড়ে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে তুলতে মরিয়া বিনয় তামাং, অনীত থাপারা। পাহাড়ে তারা শাসকের ভূমিকায় থাকলেও দার্জিলিং বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচনে হার মানেন বিনয় তামাং। লোকসভা ভোটেও ভরাডুবি হয়েছে তাদের। আর তাই ক্যাব এবং এন আর সি ইস্যুকে হাতিয়ার করে পাহাড়বাসীর হৃদয় জয় করতে চাইছে তারা। যদিও বিনয়পন্থীদের এই আন্দোলনে সায় নেই বিজেপি এবং জিএনএলএফের। বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা সাফ জানান, তৃণমূলের পথেই ওরা চলছে। পাহাড়বাসীর হৃদয় জয় করতে পারবে না। একই সুর দার্জিলিংয়ের জি এন এল এফ বিধায়ক নীরজ জিম্বার গলাতেও। তবে বিরোধীদের বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া বিনয় তামাংরা। বুধবার দার্জিলিং জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে ক্যাব বিলের খসড়া পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা। ডিসেম্বর মাসজুড়ে পাহাড়ের সর্বত্র আন্দোলন চালিয়ে যাবে তারা। এমনকী, এই ইস্যুতে পাহাড়ের অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং অরাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে শুরু করেছেন বিনয়পন্থীরা। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালাতে মরিয়া তারা। যাতে কোনঠাসা অবস্থায় পড়ে যায় জিএনএলএফ, বিমলপন্থী এবং বিজেপি।