আর এই ঘটনার জেরে, অভিযুক্তের এনকাউন্টার চেয়েছেন মৃতার বাবা।
জানা গিয়েছে, মৃতার স্বামী বিপিন ভাটিকে দেখা গিয়েছে তাঁর স্ত্রীকে অত্যাচার করতে। বিপিনের স্ত্রী নিক্কিকে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় সিঁড়ি থেকে নামতেও দেখা যায় একটি ভিডিওতে।
শনিবার বিপিনকে গ্রেফতার করার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যায়। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখা হয়েছিল, নিক্কি আত্মহত্যা করেছিল। বিপিন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “তুমি এদের কে বলছ না কেন? তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে কেন? গোটা দুনিয়া এখন আমাকে খুনি বলছে, নিক্কি! সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপিন এও লেখেন, তাঁর সঙ্গে যা হচ্ছে খুব খারাপ হচ্ছে।
advertisement
প্রসঙ্গত, মৃতার বড় বোনেরও একই পরিবারে বিয়ে হয়েছে। তাঁর বড় বোন কাঞ্চন জানান, পণের ৩৬ লক্ষ টাকার জন্য বহুদিন ধরেই নিক্কিকে চাপ দিচ্ছিল বিপিনের পরিবার। তা দিতে না পারায় গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই পণের জন্য তাঁকেও যথেষ্ট লাঞ্ছিত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কাঞ্চন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের শাশুড়িরা প্রচণ্ড অত্যাচার করত। আমাদের ৩৬ লক্ষ টাকা পণের জন্য চাপ দেওয়া হত। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা থেকে ৪টে পর্যন্ত আমার উপর অত্যাচার করা হয়। আমাদের বলা হয় আমরা মরে গেলেই ভাল।”
অভিযোগ এরপরেই গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় নিক্কির। কাঞ্চন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কাসনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃতার স্বামী, তাঁর দেওর, এবং শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা এখনও পলাতক।