বর্ষার সময় সাপের উপদ্রব বাড়ে। আর এবার তো বর্ষা চলছে দীর্ঘ সময় ধরে। আর এই সময় বিহারের গ্রাম, মফস্বলে ভয়ঙ্কর এক সাপের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অনেকের দাবি, এবার ছোবল মারলেও টের পাওয়া যায় না। জ্বালাও করছে না। এক মিনিটের মধ্যেই বিষ ছড়িয়ে যাচ্ছে সারা শরীরে। মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে।
advertisement
এক প্রজাতির বিষধর সাপের খোঁজ পাওয়া গেল বিহারে। এর আগে মাত্র দুটি এই প্রজাতির সাপের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। সম্প্রতি সেই সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিহারে সেই বিষাক্ত সাপের দেখা পাওয়া গিয়েছিল। নেচার এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সোয়াইটির প্রোজেক্ট ম্যানেজার অভিষেক জানান, সেই সাপের নাম ওয়ালস ক্রেট। এটি বিরল প্রজাতির বিষধর সাপ। বিহারে এতদিন পর্যন্ত দুটি ওয়ালস ক্রেট সাপের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। এবার বিহারে ওয়ালস ক্রেট প্রজাতির সাপের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন।
আরও পড়ুন- ইউটিউবারদের জন্য ‘ঐতিহাসিক’ নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের! ‘কনটেন্ট’-এর নামে ‘যা খুশি’ বন্ধ
বিহারের বাল্মিকী টাইগার রিজার্ভে দুটি ওয়ালস ক্রেট প্রজাতির সাপের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই এলাকার অনেক প্রজাতির বিষধর সাপের খোঁজ পাওয়া যায়। কলোনেল ফ্র্যাঙ্ক ওয়াল ১৯০৭ সালে প্রথমবার ওই সাপের খোঁজ দেন। তাই সেই সাপের নামকরণ হয়েছিল ওয়ালস ক্রেট। সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট লম্বা হয় এই প্রজাতির সাপ। ডোরাকাটা শরীর। হালকা খয়েরি রঙের দেহ এবং পেটের কাছের রং হলুদ।সূঁচের মতো সরু দাঁত হয় এদের। কামড়ালে ব্যথা-জ্বালা হচ্ছে না। স্নায়ুতন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। নিউরোটক্সিক বিষধর এই সাপ এখন ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে অনেকের।