সাক্ষাত্কারে বিরোধীদের আসল কাজ মনে করিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদের উচিত সরকারের দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করা। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোনও প্রমাণ নেই। তাই বিরোধীরা ব্যক্তিগত স্তরে তাঁকে আক্রমণ করছেন। তিনি বলেন, ‘‘যদি কোনও ব্যক্তি দুর্নীতির কাজে লিপ্ত হয়, তা ব্যক্তিগত বিষয় নয়। এটি একটি জনসাধারণের বিষয়। এবং বিরোধীদের দায়িত্ব সেই দুর্নীতিকে জনসমক্ষে আনা। কিন্তু ওরা(বিরোধীরা) দুর্নীতি খুঁজে পায় নি। তাই ভিত্তিহীন কথা, অপমানজনক শব্দের ব্যবহার এবং এমনকি প্রধানমন্ত্রী মোদির মায়ের সম্পর্কেও মন্তব্য করে।’’ এই ধরনের মন্তব্যকে ‘সীমা ছাড়ানো’ বলেন শাহ। ভোটারদের কাছে তাঁর আবেদন, ‘‘এই ধরনের লোকদের অবশ্যই নির্বাচনে শাস্তি দেওয়া উচিত।”
advertisement
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ব্যক্তিগত আক্রমণের অবনমনকে “নিম্ন-স্তরের রাজনীতি” হিসাবে বর্ণনা করেছেন যা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে খেয়ে ফেলে। “এই ধরনের নিম্ন-স্তরের রাজনীতি গণতন্ত্রে একটি উইপোকার মতো, এটি মূল শিকড়কে খেয়ে ফেলে,” তিনি মন্তব্য করেন, যোগ করে যে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি হওয়া উচিত ন্যায় এবং নীতিমূলক, অপমানজনক নয়।
আরও পড়ুন: গল্প নয় জলজ্যান্ত সত্যি, আস্ত সাপ গিলে খাচ্ছে ব্যাঙ! ভিডিও দেখলে চোখ কপালে উঠবে
অমিত শাহ আরও বলেন, সংসদের ক্ষেত্রে বৈপরীত্য ছিল স্পষ্ট। তিনি একে দেশের “সবচেয়ে বড় পঞ্চায়েত” বলেন। সংসদেও বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে সরব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আইনসভা জাতীয় স্বার্থের বিষয়গুলিতে বিতর্কের জন্য ছিল, কিন্তু বিরোধী এমপিরা পরিবর্তে বিঘ্ন ঘটানোর পথ বেছে নিয়েছিলেন, অভিযোগ শাহের। ‘‘প্রথম দিন থেকেই, ওঁরা সংসদকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করেছেন। এমনকি যখন ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়া হচ্ছে এবং তারপর দাবি করেন যে তাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তারা স্পিকারের দ্বারা সময় দেওয়া সত্ত্বেও ওয়াক আউট করে, বিতর্কের পরিবর্তে রাজনৈতিক কটাক্ষের জন্য তাদের হস্তক্ষেপ ব্যবহার করে এবং বারবার হাউসের নিয়ম লঙ্ঘন করে। সংসদ ফ্রিস্টাইল পদ্ধতিতে কাজ করতে পারে না’’, বিরোধীদের তোপ দাগলেন অমিত শাহ।