ছত্তিসগঢ়ের কোরবা জেলার মানেন্দ্রগড়ের ঘটনা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক শুধু মদ্যপ নন, বরং মানসিক ভাবে বিপর্যস্তও। শুক্রবার এলাকার একটি বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইনের টাওয়ারে উঠে পড়েন তিনি। বোঝাই যায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
আরও পড়ুনঃ আপনার শহরে মাত্র ৫০ টাকায় ১০ পিস চিকেন মোমো! আজই ঠিকানা জানুন
advertisement
ততক্ষণে ওই এলাকায় ভিড় জমে গিয়েছে। অনেকেই ছবি তুলতে শুরু করেন। অনেকবার চিৎকার করে তাঁকে নেমে আসার অনুরোধও জানানো হয়। কিন্তু যুবক যে সে সব কানে তোলার পাত্র নন। তাই স্থানীয়দের মধ্যে থেকেই কয়েকজন খবর দেন পুলিশে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেও পুলিশ খুব সহজে যুবককে বুঝিয়ে নামিয়ে আনতে পারেনি। বরং হাইটেনশন টাওয়ারে উঠে পড়ায় ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। ঘণ্টা কয়েকের চেষ্টায় ওই যুবককে নিরাপদে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই যুবক অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন। তবে তাঁর হাতে ছিল একটি মোবাইল ফোন এবং সেই ফোনে তিনি কারও সঙ্গে কথাও বলছিলেন। হঠাৎ ওই যুবককে টাওয়ারে উঠতে দেখে তাজ্জব বনে যান এলাকার বাসিন্দারা।
পরে তাঁকে উদ্ধারের পর জানা যায়, ওই যুবকের নাম রামপ্রতাপ ওরফে দীপক। মূলত মধ্যপ্রদেশের শাহদোল এলাকার বাসিন্দা রামপ্রতাপ। তবে শ্রমিকের কাজ করতে তিনি আসেন ছত্তিসগঢ়ের মানেন্দ্রগড়ে। টাওয়ার থেকে নিরাপদে নামিয়ে আনার পর তাঁর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। বার বার জিজ্ঞাসা করা হয় কেন তিনি টাওয়ারে উঠেছিলেন, কী চান তিনি। তবে রামপ্রতাপ কিছুই বলতে চাননি। শুধু বলেন, ‘স্যার আমাকে মরতে দিন।’
যদিও গ্রামের বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, কিছু দিন আগে রামপ্রতাপের স্ত্রী মারা গিয়েছেন। তারপর থেকে তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ। প্রায়ই অদ্ভুত সব কাজকর্ম করে থাকেন। সেই সঙ্গে রয়েছে নেশা।
