প্রসঙ্গত দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সিন্ধু কুমারী বিহারের জামুই জেলার একটি কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করতেন। সেখানে শিক্ষক প্রভাকর মাহাতো একজন কর্মরত পুলিশকর্মী। তিনি ছ’ মাস আগে বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। সিন্ধু কুমারী সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কোচিং সেন্টারে তাঁদের বন্ধুত্ব হয় এবং অবশেষে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়।
তাঁদের পরিবার এই সম্পর্কের কথা জানতে পারে এবং দু’জনের মধ্যে বিয়ের কোনও পরিকল্পনা অস্বীকার করে। লক্ষ্মীসরাই জেলার মাহাতোর পরিবারও এই সম্পর্কের বিরোধিতা করে। এই দম্পতি বুঝতে পেরেছিলেন যে তাদের পরিবার কখনই রাজি হবে না, তাই গত সপ্তাহে পালিয়ে গিয়ে একটি মন্দিরে বিয়ে করেন।
advertisement
ভিডিওতে দম্পতি বলেছেন যে তাঁদের পরিবার তাঁদের সঙ্গে কী করতে পারে তা নিয়ে তারা ভীত। কুমারী বলেন যে তিনি চিন্তিত যে তাঁর পরিবার তাঁর স্বামীর পরিবারকে হয়রানি করতে পারে। সোমবার প্রকাশিত ভিডিওতে, কুমারী বলেছেন যে তাঁর বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং মাহাতো তাঁর নিজের ইচ্ছায় তাঁকে বিয়ে করেছেন। ‘‘সে আমাকে অপহরণ করেনি,’’ তিনি বলেন, এবং হাত জোড় করে পুলিশের কাছে আবেদন করেন যেন তাঁর স্বামী বা তাঁর পরিবারকে হয়রানি না করা হয়। মাহাতো পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে বলেন, তিনি কুমারীকে সত্যিই ভালবাসেন এবং তাঁরা আজীবন একসঙ্গে থাকবেন।
জামুই পুলিশ অফিসার অমরেন্দ্র কুমার বলেছেন যে তাণরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন এবং দম্পতির উপর কোনও চাপ আছে কিনা তা দেখার জন্য উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন।