তবে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয় নেটমাধ্যমে। সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, মৃত্যু হয়েছে এক তরুণীর। আর প্রেয়সীর সিঁথিতে সিঁদুর রাঙিয়ে তাঁকে বিদায় জানাচ্ছেন প্রেমিক। এই ভিডিওটি দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন যে, ওখানে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা আসলে ঐন্দ্রিলা এবং সব্যসাচী। আদতে কিন্তু তা নয়! ওই ভিডিওটি আসলে অসমের এক তরুণ-তরুণীর। তবে তাঁদের গল্পটাও অনেকটা ঐন্দ্রিলা এবং সব্যসাচীর মতোই।
advertisement
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপ স্পেশ্যাল মিষ্টি, রসনা তৃপ্তির মিঠাইয়ে এবার ফুটবলের আঁচ !
সূত্রের খবর, নগাঁও জেলার রাহা-র বাসিন্দা প্রার্থনা বোরা দীর্ঘ দিন ধরেই মারণ রোগের সঙ্গে যুঝছিলেন। কিন্তু ওই অবস্থাতেও সব সময় পাশে ছিলেন প্রেমিক বিটুপান তামুলি। গত শুক্রবার যখন প্রার্থনার মৃৃত্যু হয়, সেই সময় তাঁর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে তাঁকে বিয়ে করলেন বিটুপান। আজকালকার প্রেম-সম্পর্ক ভাঙার দুনিয়ায় অমর হয়ে রইল তাঁদের প্রেম কাহিনীও। মৃত্যুও আলাদা করতে পারল না এই জুটিকে!
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই মারণ রোগে আক্রান্ত ছিলেন প্রার্থনা। যা থেকে সেরে ওঠা প্রায় অসম্ভব বললেই চলে! তবে জটিল রোগের চোখরাঙানির কাছেও হার মানেনি স্বপ্ন। আগামীতে বিয়ে করে সংসার সাজানোর স্বপ্নও দেখতেন প্রার্থনা-বিটুপান। কিন্তু নিয়তি হয়তো সেটা চায়নি। ফলে প্রেমিককে বিয়ে করে সংসার সাজানোর স্বপ্নটা অধরাই থেকে গিয়েছে প্রার্থনার।
আরও পড়ুন- কাজে এল না নন্দকুমার মডেল, মহিষাদলে পরাস্ত বিজেপি-বাম জোট
কিন্তু মনের মানুষটার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যাক, সেটা চাননি বিটুপান। এর জন্য প্রেয়সীকে ফুলের মালা দিয়ে সাজিয়ে এবং তাঁর সিঁথি রাঙিয়ে বিদায় জানিয়েছেন বিটুপান। সেই সঙ্গে প্রার্থনার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনাও করেছেন তিনি। এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি নেটিজেনরা। অনেকেই বলছেন যে, এমনটা তো শুধুই ফিল্মে দেখা যায়! বাস্তব জীবনে তো এমন রূপকথার মতো প্রেম দেখাই যায় না!
রাজধানীর বুকে যেখানে প্রেমিক আফতাবের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হয়ে ৩৫ টুকরোয় পরিণত হয়েছেন মুম্বইয়ের তরুণী শ্রদ্ধা ওয়ালকর, সেখানে দেশেরই অন্য অংশে এ-ভাবেই অমর প্রেমের উপাখ্যান তৈরি করেন সব্যসাচী এবং বিটুপানরা। যাঁরা কোনও অবস্থাতেই প্রেমিকার হাত ছেড়ে দেন না।