ভিডিও-তে দেখা যায় এক ব্যক্তির মুখ। প্রাথমিক ভাবে মনে হতে পারে, গাল থেকে নেমেছে ঘন কালো দাড়ি। কিন্তু না, মোটেও দাড়ি নয়। একটু ভাল করে দেখলেই বোঝা যাবে, ওগুলি আসলে জীবন্ত মৌমাছি। চাক বেঁধে রয়েছে ওই ব্যক্তির গালে। কখনও আবার তারা চাক বাঁধে মাথায়।
আরও পড়ুন – Rinku Singh: KKR খুঁজে এনেছিল মুক্তো, আজ সে ঝকঝকে হিরে, তবুও কেকেআরের ঘরে মাইনে বাড়ছে না রিঙ্কুর
advertisement
ভিডিও দেখে ভয় লাগলেও যাঁর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটছে তিনি একেবারে নির্বিকার। যেন এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক। না কোনও বিদেশী দুঃসাহসি ব্যক্তি নন। তিনি কোনও দুঃসাহসিক ক্রীড়ায় যোগদানও করেননি। বরং নিতান্তই সাধারণ এক কৃষক। কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় তাঁর বাড়ি।
জানা গিয়েছে, উপকূলবর্তী পুত্তুর এলাকার বাসিন্দা কুমার পেরনাজ। সুপারি-সহ নানা ধরনের কৃষির সঙ্গে তিনি যুক্ত। সেই সঙ্গে তাঁর বিশেষ শখ রয়েছে মৌমাছি পালনেও। এথেকে তাঁর আয়ও হয় বিস্তর। এই প্রাণী পালনের অঙ্গ হিসেবেই তাঁকে করতে হয় বিপজ্জনক কাজ। মৌচাক থেকে রানি মৌমাছি ও তার পরিবারকে সরিয়ে ফেলা মোটেও মুখের কথা নয়। কিন্তু সেটাই তিনি করেন অবলীলাক্রমে। তাঁর দাড়ি এবং গোঁফের মধ্যে ভিন ভিন করতে থাকে মৌমাছি। বিষয়টা উপভোগই করেন কুমার।
কিন্তু সব থেকে বড় বিষয় হল, কুমারের মুখে এসে জড়ো হলেও ওই মৌমাছিগুলি তাঁকে কোনও ভাবেই হুল ফোটায় না।
কী করে এটা সম্ভব?
কুমার নিজেই বলেন, ওদের কোনও ক্ষতি না করলে, ওরা আতঙ্কিত না হলে কাউকে আঘাত করে না। হুল ওদের আত্মরক্ষার কৌশল। এই বিষয়টিকে মূল মন্ত্র করেই মৌমাছিদের নিয়ন্ত্রণে রাখেন কুমার। এমনকী বুনো মৌচাক দেখতে পেলেও কুমার সেগুলিকে বাড়িতে নিয়ে এসে একটি বাক্সে লালন-পালন করেন।
তবে শুধু নিজের রোজগারের জন্যই নয়। মৌমাছি পালন করে কিছু অভাবী পরিবারের কর্মসংস্থানের কাজও করছেন তিনি। কুমার বলেন, মৌমাছিদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এই ছোট্ট প্রাণীগুলি জীবন হরেক পাঠ শেখায়।