রীতি অনুযায়ী মাত্র ১ টাকা ও একটি নারকেল নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অন্য দিকে ২২ নভেম্বর রিঙ্কুর বিয়ে ঠিক করা হলেও ১৪ লাখ টাকা যৌতুকের গাড়ি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ বর বরযাত্রীর সঙ্গে আসেননি। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে তরুণী বরকে গ্রেফতার করান এবং বিয়ে ভেঙে দেন। রিঙ্কু বলেন, "এই সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান করার জন্য আমাদের কোনও অনুশোচনা নেই। বরং এতে খুব ভালো হয়েছে। বিয়ের পর তাদের যৌতুকের দাবি বেড়ে গেলে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের অনেক সমস্যায় পড়তে হত।"
advertisement
আরও পড়ুন- এসবও কেউ করতে পারে! ফুলশয্যার রাতেই এমন শর্ত দিল বর, সম্পর্ক পৌঁছে গেল ডিভোর্সের কাঠগড়ায়
রিঙ্কু জানান, এখন অনেক পরিবার থেকেই তাঁর বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে ফোন আসছে। তবে শুধু বাবাই সিদ্ধান্ত নেবেন কখন এবং কোথায় তাঁর বিয়ে ঠিক হবে। তবে এখন যে ফোন আসছে তা সরাসরি তাঁর বাবার কাছে আসছে। তরুণীর বাবা মেয়ের সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়ে ওই যৌতুক-লোভীদের আইনি শাস্তির ব্যবস্থা করেছেন। সাহসী ওই তরুণীর কথায় "আমি সবাইকে অনুরোধ করব যে পরিবার মেয়ের সঙ্গে সঙ্গে যাবতীয় যৌতুক চাইছে তাদের প্রকাশ্যে বয়কট করা হোক।"
২৪ নভেম্বর পাত্র পক্ষের তিনজনই জামিন পান। আকোড়ার অধিবাসী রিঙ্কুর বিয়ে ঠিক হয়েছিল ধানোন্দার সোনুর (Sonu) সঙ্গে। সোনু বিএসএফ-এ কর্মরত। গত ২০ নভেম্বর বিয়ের পূজা-সহ নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করলেও যৌতুকে ক্রেটা গাড়ি না পাওয়ায় বরপক্ষ মন্ডপে উপস্থিত হয়নি। এই নিয়ে ২৩ নভেম্বর পঞ্চায়েতও বসে। সর্বসম্মতিক্রমে বরপক্ষের বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোনু, তার বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মেয়ের বাড়ির লোকজন। পুলিশ ওই তিনজনকেই গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। সেখান থেকে ২৪ নভেম্বর তিনজনই জামিন পান।
আরও পড়ুন- ১০ লক্ষ খরচ করে সৌন্দর্য বাড়িয়েও খুশি নন মডেল! ফিরে পেতে চান পুরনো মুখ
একই সঙ্গে মেয়ের বাবা সুরেন্দ্র সিং (Surendra Sing) জানান, তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য আত্মীয়-স্বজন ও সমাজের লোকজনের কাছ থেকে প্রতি দিন ৩ থেকে ৪টি করে ফোন আসছে এবং তারা কেউই আর যৌতুক চাইছে না।