মানুষ মিম বানায় গ্রামের নাম নিয়ে –
লোকাল 18-এর সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে লোলপুর গ্রামসভার প্রধান প্রতিনিধি গৌরব সিং বলেন যে, আগে এর নাম ছিল ‘লোলাপুর’, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘লোলপুর’ হয়ে গিয়েছে। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এই নামটি নতুন প্রজন্মের কাছে বিনোদনের কারণ হয়ে উঠেছে। এখানকার ছবি বা সাইনবোর্ড দেখে মানুষ মিম তৈরি করে এবং শেয়ার করে।
advertisement
নাম পরিবর্তনের জন্য চলছে উদ্যোগ-
গৌরব সিং বলেন যে, তাঁরা লোলপুরের নাম পরিবর্তনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে দুটি চিঠি লিখেছেন, কিন্তু একনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি সরকারের তরফে। তিনি বলেন যে এটি গোন্দার শেষ জেলা এবং গ্রামসভা অযোধ্যা জেলার সংলগ্ন। তাই এর নাম হয় অযোধ্যা রাখা হোক অথবা স্বাধীনতা সংগ্রামী রাজা দেবীবখশ সিংয়ের নামে রাখা হোক।
সব জায়গায় গ্রামের নাম নিয়ে মজা চলে-
গৌরব সিং বলেন যে, তাঁরা যখনই কোথাও যান গ্রামের নাম নিয়ে মজা করা হয় এবং এতে তাঁদের লজ্জা লাগে। তাই তাঁর দাবি গ্রামের নাম পরিবর্তন করা উচিত, যাতে তাঁরাও গর্বের সঙ্গে গ্রামের নাম সকলকে বলতে পারেন।
গ্রামবাসীরা যা বলছেন-
জনৈক গ্রামবাসী মহেশ পান্ডে বলেন যে, ব্রিটিশ আমলে এই গ্রামের নাম ছিল লোলাপুর, কিন্তু বর্তমানে এই গ্রামের নাম হয়ে গিয়েছে লোলপুর। তিনি বলেন, যখনই তাঁরা কোনও অনুষ্ঠানে বা অন্য কোথাও যান এবং গ্রামের নাম বলেন, লোকেরা হাসতে শুরু করে। অঙ্কিত তিওয়ারি বলেন, অযোধ্যায় আসা পর্যটকরা আমাদের সাইনবোর্ড দেখে মিম তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে হাসাহাসি করেন।
তিনি বলেন, যেহেতু অযোধ্যা পাশেই, তাই গ্রামের নামকরণ রামায়ণের নামে করা উচিত অথবা এমন একটি ভাল নাম দেওয়া উচিত যা বলতে লজ্জা হবে না। শিব তিওয়ারি বলেন, যখন তাঁরা কোনও কাজের জন্য বাইরে যান, তখন গ্রামের আসল নামের পরিবর্তে অযোধ্যা বলতে হয়। কারণ গ্রামের নাম শুনলেই লোকে হাসতে শুরু করে!