সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক দম্পতির বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করার একটি ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হয়। যাতে দেখা যাচ্ছে বিবাহবার্ষিকী পালন করার সময় ওই দম্পতি একসঙ্গে গান গাইছেন এবং তাঁদের সামনে টেবিলের উপর একটি কেকও দেখা যায়। যা নেটিজেনদেরও আকৃষ্ট করে। কিন্তু ঘটনার শেষ এখানেই নয়। বিপত্তি বাঁধে মহিলার গলায় পরা একটি অতিবৃহৎ হার নিয়ে। ভিডিওতে যায় যে, ওই মহিলাটি একটি হাঁটু পর্যন্ত দীর্ঘ সোনার মঙ্গলসূত্র পরেছেন যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং বৃহত্তর এই মঙ্গলসূত্রের অসাধারণ আকারটি নেট দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। যা নেটিজেনদের মধ্যে মুখ্য আলোচনার বিষয়ও হয়ে ওঠে। তবে, এখন জানা গিয়েছে যে, ১ কেজির ওই মঙ্গলসূত্রটি সোনার তৈরি নয়, এটি ছিল কেবলমাত্র সোনার মতোই দেখতে।
advertisement
অন্য দিকে ভিওয়ান্দি পুলিশ ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে তদন্ত শুরু করে এবং ওই ব্যক্তিকে তদন্তের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। ইন্ডিয়া টুডের (India Today) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বালা কলি (Bala Koli) নামের ওই ব্যক্তি যিনি তাঁর স্ত্রীকে ১ কেজির হারটি উপহার দিয়েছিলেন তা আসলে সোনার মতো দেখতে, তা সোনার প্রতিরূপ মাত্র এবং তিনি এটি স্থানীয় গহনার দোকান থেকে ৩৮,০০০ টাকায় কিনেছিলেন। তিনি বলেন যে, এই মঙ্গলসূত্রটি তাঁর স্ত্রীকে উপহার দিয়েছিলেন কারণ তিনি চান তাঁদের বিবাহবার্ষিকীর দিনটি বিশেষ হয়ে উঠুক।
তবে অবশ্য এটা জানা ছিল না তাঁর যে স্ত্রীকে খুশি করার এই সৎ প্রচেষ্টা পুলিশকে তাঁর দ্বারে পৌঁছে দেবে। তাঁর উল্লিখিত গহনার দোকানের সঙ্গে কথোপকথনের পরেই পুলিশ নিশ্চিত হয়েছিল এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বালা কলিকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
পাশাপাশি ভিওয়ান্দি পুলিশ কলিকে এবং অন্যান্যদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয়বহুল জিনিসপত্রের তথ্য পোস্ট করার বিষয়ে খুব সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা বিষয়গুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য মানুষকে আবেদন করেছিল কারণ এটি তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধীরা ব্যবহার করতে পারে। পুলিশ কর্মকর্তারা মানুষকে এই জাতীয় ব্যয়বহুল জিনিসপত্র নিরাপদে ব্যাঙ্ক লকারে রাখার পরামর্শও দিয়েছিলেন।