২০১৭ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দেন শিবাঙ্গী। তিনি যুদ্ধবিমানের জন্য নির্বাচিত মহিলাদের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যাচের একজন। এতদিন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মিগ-২১ বিমানটি উড়িয়ে এসেছেৱ তিনি। এবার তাঁর হাতেই অর্পিত হতে চলেছে গুরুদায়িত্ব। অম্বালায় ১৭ নং স্কোয়াড্রনে শীঘ্রই অন্য পাইলটদের সঙ্গে গোল্ডেন অ্যারোর ট্রেনিংয়ে দেখা যাবে তাঁকে। দক্ষতার পুরস্কার হিসেবেই সবচেয়ে পুরনো মডেলের বিমান মিগ থেকে সরাসরি রাফাল চালানোর দায়িত্বে আসছেন শিবাঙ্গী।
advertisement
ইতিমধ্যেই রাজস্থান থেকে আম্বালায় এসে পৌঁছেছেন শিবাঙ্গী। রাজস্থানে যে বেসে শিভাঙ্গি এতদিন ছিলেন, সেখানে ভারতের সেরা বায়ুসেনা অভিনন্দন বর্তমানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিমান ওড়ানোরও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তিনি।
বারাণসীর মেয়ে শিভাঙ্গি স্কুল শেষ করে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেন। সেখান থেকেই তিনি ন্যাশানাল ক্যাডেট কর্পের সাত নং ইউপি স্কোয়াড্রনে নাম লেখান। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিক বাবে এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে যাত্রা শুরু হয় তাঁর।
জুলাই মাসের ২৭ তারিখ ভারতে পা রাখে রাফাল। অনেক আগে থেকেই স্থির ছিল তাকে ১৭ নং স্কোয়াড্রনের অংশ করা হবে। অর্থাৎ 'গোল্ডেন অ্যারো'-র অংশ হবে রাফাল। রাফালকে ঘিরে রাখতে এয়ারফোর্স মিডিয়াম রেঞ্জ মডিউলার এয়ার টু গ্রাউন্ট উইপন সিস্টেম তৈরি করেছে।ফ্রান্সের বিমানবাহিনী ও নৌসেনার নকশায় তৈরি হওয়া এই হ্যামার( হাই অ্যাজাইল মডিউলার মিউনিশন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ)-সহ রাফালের আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয় গত ১০ সেপ্টেম্বর।