সূত্রের খবর, দেশের ৪০টি শহরকে জুড়ে কমপক্ষে ১০টি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো হবে। সরকারের আশা, এর ফলে ভারতীয় রেল নতুন উদ্যম পেতে পারে।
আরও পড়ুন: মিশন-২০৪৭, দেশ জুড়ে চলবে বন্দে ভারতের মতো ট্রেন! রেলের বিরাট সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর অশ্বিনী বৈষ্ণও এই প্রকল্পটি নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছেন মন্ত্রকের অন্দরে। তাঁর নির্দেশ, ২০২২ সালের অগাস্টের মধ্যে কমপক্ষে ৪০টি শহরকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাপথের সঙ্গে জুড়ে ফেলতেই হবে। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত দেশে কেবলমাত্র দু'টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে। প্রথমটি দিল্লি থেকে বারাণসী পর্যন্ত, যা ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করেছিলেন এবং দ্বিতীয়টি দিল্লি থেকে জম্মুর কাটরা অবধি চলাচল করে।
advertisement
সূত্রের খবর, মোট ১০০টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেশের বিভিন্ন শহরে চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেল মন্ত্রকের। যা উৎপাদনে খরচ হতে পারে কমপক্ষে ১১০০০ কোটি টাকা।চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে।এখানে এই মুহূর্তে প্রতি মাসে ৬টি রেক তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করে ৭ থেকে ১০ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রী নিজে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এসে দেখেছেন৷ কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেছেন৷
আরও পড়ুন: ট্রেনযাত্রীদের জন্য বিশাল খবর! প্রতিটি প্যাসেঞ্জারকে বিরাট খুশি দেবে
নতুন যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচ আসতে চলেছে সেই সকল কোচের মাঝে থাকবে নন ড্রাইভিং ট্রেলার কোচ। অনেকটা ইএমইউ-এর মত। এর ফলে নতুনভাবে তৈরি হওয়া এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন আগের তুলনায় অনেক বেশি গতিতে ছুটতে সক্ষম হবে। এর জন্য এই রেক ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয়েছে চরম তৎপরতা। অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নতুন এই অত্যাধুনিক বন্ধে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে থাকছে এরোসল ফায়ার সাপ্রেশন সিস্টেম। আগে এই ট্রেনে থাকত কেবলমাত্র স্মোক ডিটেকশন। প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে রাখা হচ্ছে এবং ইমার্জেন্সি জানলাও বাড়ানো হচ্ছে।
ইমার্জেন্সি ইলেক্ট্রিসিটি সংযোগ আগের থেকেও হচ্ছে উন্নত। কোচের বাইরে ৪টি প্ল্যাটফর্ম সাইট ক্যামেরা থাকবে। থাকবে রিয়ার ভিউ ক্যামেরাও। ট্রেনে জীবাণুমুক্ত বাতাসের ব্যবস্থা থাকবে। এর জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইউভি ল্যাম্প থাকবে। কোচে রয়েছে লেভেল ২ ইন্টিগ্রেশন সার্টিফিকেশন সেফটি। ফলে নিরাপত্তার দিক থেকেও ট্রেনের কোচের মান ভাল।