রেলের পক্ষ জানানো হয়েছে, নয়া বৈশিষ্ট যা বন্দে ভারত ট্রেন সেটে থাকছে তা হল, বন্দে ভারতের রেকগুলিতে আসন এত দিন ১৭.৩১ ডিগ্রি কোণ করে হেলানো থাকত। সেই কোণের মান বাড়িয়ে ১৯.৩৭ ডিগ্রি করা হচ্ছে। অর্থাৎ, আরও বেশি হেলে থাকবে আসন। হেলান দিতে আরাম লাগবে।ট্রেনের এগ্জ়িকিউটিভ চেয়ার কারের আসনের রং-ও বদলে যাচ্ছে। লাল থেকে রং হচ্ছে নীল।
advertisement
আরও পড়ুন– দ্বিতীয়ায় শহরে ‘ম্যাজিশিয়ান’ রোনাল্ডিনহো ! প্যান্ডেল ঘোরার পাশাপাশি নামবেন বল পায়ে
ট্রেনের আসনের নীচে মোবাইল চার্জ দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আরও সহজে মোবাইলে চার্জ দিতে পারবেন যাত্রীরা। ট্রেনের শৌচালয়ে আলোর মাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি করছে রেল। ১.৫ ওয়াটের পরিবর্তে এ বার থেকে শৌচালয়ে ২.৫ ওয়াটের আলো জ্বলবে।
হাত ধোয়ার বেসিন আগের থেকে বড় করা হয়েছে। এতে হাত ধুতে গেলে জল বাইরে ছিটকে আসার সম্ভাবনা কমবে। শৌচালয়ের হাতল আরও বাঁকানো হয়েছে নতুন রেকে। যাতে যাত্রীদের ধরতে সুবিধা হয়। ট্রেনের জলের কলগুলিও পাল্টে দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষ ভাবে সক্ষম যাত্রীদের হুইলচেয়ার রাখার ব্যবস্থা আগের চেয়ে উন্নত এবং সুবিধাজনক করা হচ্ছে। কোনও কারণে ট্রেনে আগুন লাগলে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রগুলি যাতে সহজে দেখা যায়, তাই তার আবরণ স্বচ্ছ করা হচ্ছে। কামরার ভিতরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করছে রেল। কামরার দরজাগুলি বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করা যাতে আরও সহজ হয়, সেই বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
ট্রেনে যাত্রীদের মালপত্র রাখার তাকগুলি সামান্য ছোঁয়ায় যাতে সক্রিয় হয়ে ওঠে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে নতুন বন্দে ভারতে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ট্রেন থামিয়ে দেওয়ার জন্য যে বোতাম রয়েছে, চালকের সুবিধার্থে তার জায়গা বদল করা হচ্ছে। চালকের সুবিধার্থে ট্রেনগুলিতে প্যান্টোগ্রাফও আগের চেয়ে উঁচু করা হচ্ছে। এ ছাড়া বাইরের অংশে ‘নোজ’ আরও মজবুত করা হয়েছে৷