Saroj Khan: সন্তানকে কবরে শুইয়ে পৌঁছেছিলেন ছবির সেটে; কিংবদন্তি কোরিওগ্রাফার সরোজ খানের জীবনটাও যেন আস্ত একটা ফিল্ম
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Saroj Khan's Biopic: জীবনের বিভিন্ন পর্বে তিনি বহু উত্থান-পতন দেখেছেন। এমনকী সরোজ খানকে নিয়ে একটি বায়োপিক তৈরির হওয়ার কথাবার্তাও চলছে। যেখানে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন তাঁর অন্যতম প্রিয় শিষ্যা মাধুরী দীক্ষিত।
বলিউডি ছবিতে ক্লাসিক্যাল ধারার নাচের কথা উঠলে মাধুরী দীক্ষিতের নাম মনে আসবেই। বিভিন্ন ছবিতে নিজের অপূর্ব নৃত্যশৈলী প্রদর্শন করে মুগ্ধ করেছেন ভক্তদের। আর তাঁর এই নৃত্যশৈলীর পিছনে অন্যতম কারিগর হলেন সরোজ খান। যাঁর নৃত্য দক্ষতার কথা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না! বরং বলা ভাল, গোটা বলিউডকেই ‘নাচিয়েছেন’ তিনি! অথচ এহেন তারকা কোরিওগ্রাফারের জীবন যেন একটা আস্ত চলচ্চিত্র!
advertisement
জীবনের বিভিন্ন পর্বে তিনি বহু উত্থান-পতন দেখেছেন। এমনকী সরোজ খানকে নিয়ে একটি বায়োপিক তৈরির হওয়ার কথাবার্তাও চলছে। যেখানে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন তাঁর অন্যতম প্রিয় শিষ্যা মাধুরী দীক্ষিত। আজ সরোজ খানের জীবনের ফিল্মি কাহিনীই শুনে নেওয়া যাক। ১৯৪৮ সালের ২২ নভেম্বর এক হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সরোজ খান। সেই সময় তাঁর নাম ছিল নির্মলা নাগপাল।
advertisement
মাত্র ১৩ বছর বয়সেই বিয়ে করেছিলেন নিজের গুরু সোহন লালকে। ওই সময় সোহন লালের বয়স ৪৩। বিয়ের আগে অবশ্য সরোজ জানতেন না যে, তাঁর স্বামী আগে থেকেই বিবাহিত এবং চার সন্তানের জনক। এই কঠিন সত্যি জানার পরে ভেঙে পড়েছিলেন। তবে শুরু হয়েছিল সংসার জীবন। তিন সন্তানের জন্ম দেন। একজন অবশ্য জন্মের পরেই মারা যায়। সোহনলাল সরোজের তিন সন্তানকে অস্বীকার করেন। ফলে দু’জনের পথ আলাদা হয়ে যায়।
advertisement
এরপর তাঁর জীবনে আসেন রোশন খান। বিয়ের প্রস্তাব দিলে সরোজ শর্ত দেন যে, তাঁর সন্তানদের পরিচয় দিতে হবে রোশনকে। সেই প্রস্তাবে রাজি হতেই বাজে বিয়ের সানাই। আর রোশনকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সরোজ খান হন তিনি। স্বামীর বেকারত্বের কারণে সরোজ খান নিজেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, তিনি একটি নার্সিং কোর্স করেছিলেন এবং কিছু সময়ের জন্য একজন নার্স হিসেবেও কাজ করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি টাইপিং এবং শর্ট হ্যান্ডের প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন, যার কারণে একটি কোম্পানিতেও কিছু দিন চাকরি করেন।
advertisement
এরপর এক বন্ধুর পরামর্শে সরোজ খান ফের ব্যাকগ্রাউন্ড নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ‘হাওড়া ব্রিজ’ ছবির ‘মেহেরবা’ গানে ব্যাকগ্রাউন্ড নৃত্যশিল্পী ছিলেন তিনি। প্রথমবার তিনি ‘দিল হি তো হ্যায়’ ছবির বিখ্যাত গান ‘নিগাহেঁ মিলনে কো জি চাহতা হ্যায়’-এর কোরিওগ্রাফি করেছিলেন। এক মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, দেবানন্দের ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ ছবির বিখ্যাত গান ‘দম মারো দম’ কোরিওগ্রাফ করার কথা সরোজ খানের। সেই সময় তাঁর ৮ মাস বয়সী শিশুকন্যা গুরুতর অসুস্থ ছিল।
advertisement
যেদিন গানের শ্যুটিং চলছিল, সেদিনই মারা যায় সরোজ খানের কন্যা। মেয়েকে কবরে শুইয়ে সোজা পৌঁছে যান ছবির সেটে। সেদিন গোটা ইন্ডাস্ট্রি দেখেছিল সরোজ খানের ডেডিকেশন। তাঁর জন্যই ফিল্মফেয়ারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল সেরা কোরিওগ্রাফারের ক্যাটাগরি। আর ‘দম মারো দম’-এর জন্য সেরা কোরিওগ্রাফারের পুরস্কারটিও জিতেছিলেন সরোজ খান!